শরীয়তপুর-চাঁদপুর-নাওডোবা সড়কে ডাকাতের উপদ্রপ বেড়েছে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর-চাঁদপুর-নাওডোবা সড়কে ডাকাতের উপদ্রপ বেড়েছে

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও শরীয়তপুর-নাওডোবা সড়কের কয়েকটি স্থানে ডাকাতের উপদ্রপ বেড়েছে। ডাকাতরা গভীর রাতে সড়কে গাছ ফেলে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মালবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে ডাকাতি করছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোড়, কাশেমপুর, গাজীপুর, খায়েরপট্রি ও নরসিংহপুর বাজার এলাকা এবং শরীয়তপুর-নাওডোবা সড়কের বাংলাবাজার ও নাওডোবা এলাকায় এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

 

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে যাতায়াতকারী ট্রাকচালক ইসমাইল নেওয়াজ বলেন, কিছুদিন আগে সড়কে গাছ ফেলে কালো পোশাক পরা ও মুখ বাধা ১০-১২ জন উঠতি বয়সের ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের দুটি মোবাইল ও নগদ ২৯ হাজার সাতশ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

আরেক ট্রাকচালক ইউসুফ আলী শেখ জানান, মাঝেমধ্যেই রাতের আঁধারে এ পথের নারায়ণপুর মোড়, খায়েরপট্রি ও নরসিংহপুর এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হয়। পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলে আমরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দিয়ে মাদারীপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা-চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে।

 

তবে সড়কটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খানাখন্দ থাকায় এ রুটে গাড়ি চলাচলে খুবই বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে ডাকাতের ভয়ে যানবাহন চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

 

সখিপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ডাকাতি মামলার অনেক আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ডাকাতির বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা মামলা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. বাহালুল খান বাহার বলেন, এর আগে ডাকাত দলের দুজনকে আটক করা হয়েছিল। সড়কে টহল পুলিশ জোরদার করা হয়েছে। ডাকাতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য