জয়পুরহাটে ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ
বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটে ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মিছিলে পুলিশের বাধা

‘বিদ্যুৎ-ডিজেল, সারের দাম কমাও, ভেজাল বীজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান কর, ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত কর, গ্রাম-শহরের শ্রমজীবীদের জন্য আর্মি রেটে রেশনিং চালু, ক্ষেতমজুরদের সারা বছরের কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা’র দাবি নিয়ে জয়পুরহাটে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট মিছিল করেছে।

 

চিনিকল সড়ক থেকে পাঁচুরমোড়ে পৌঁছালে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পাঁচুর মোড়ে কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি নিয়ে মিছিল পৌঁছলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আহব্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম বাবু, ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদস্য উৎপল দেবনাথ, সদস্য সুন্দরী ওরাঁও, সুধারাম বাবু হিটলার প্রমুখ।

 

বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ-ডিজেল কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদনে কৃষকের খরচ বেড়ে গেছে। যার কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে পৌঁছলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

তারা বলেন, কৃষি ক্ষেত্রেই বাড়তি খরচের বোঝা কৃষকদের টানতে হচ্ছে। ফলে কৃষি উপকরণের অস্বাভাবিক দামে দিশেহারা চাষি। এর মধ্যে আবার বিদ্যুতের দাম ৫% বৃদ্ধির অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আহব্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ বলেন, পুলিশের কাজ কি? আমরা জানতে চাই।

 

রোজার আগেই চাল, ডাল, তেল, নুন, চিনি, ছোলাসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ নাজেহাল। আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ মানুষ জিম্মি।

 

গ্রাম-শহরের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর করার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য