জমে উঠেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোক্তা মেলা। সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তির সোপানে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রচার-প্রসার বাজারজাতকরণে ১০ দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। বাজারের দামের তুলনায় একটু কমে মেলায় বাহারি পণ্য পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলা থেকে পণ্য কিনতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষের সমাগম ঘটছে। বসন্তের শুরুতেই উৎসবমুখর পরিবেশে মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
মেলায় পাট, তাঁত, চামড়া, মৃৎ ও হস্তশিল্পের উৎপাদিত পণ্যের ৫০টি স্টল আছে। মেলায় জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বসন্তের আমেজে মেলায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটছে। এখান থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্য কিনছেন। আবার অনেকে মেলায় এসে এসব পণ্য দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।
এই মেলার বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শীর্ষ বাজারের উদ্যোক্তা ইফফাত সোলায়মান বলেন, আমি বিসিকের প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হয়েছি। বিভিন্ন তৈরি পোশাক নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছি। বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। মেলার স্টলে আমাদের পণ্য দেখে কয়েকজন উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আমি তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি।
নকশী কাঁথার উদ্যোক্তা সানজিদা খাতুন বলেন, আমরা পণ্য অফলাইন ও অনলাইনে বিক্রি করে থাকি। মেলায় অংশ নিয়ে পণ্য বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। শ্রম ও মেধাকে যুগলবন্দি করে এখন আমি এ শিল্পে জায়গা করে নিয়েছি।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী মুসা ইব্রাহিম বলেন, জেলায় হস্তশিল্পে উৎপাদিত পণ্য খুবই আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন। চাহিদাও বেশ ভালো। তাই আমি নিজে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী।
বিসিক সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এ মেলার মুখ্য উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে দিচ্ছে মেলাটি।
আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকারদের উদ্যোক্তা হতে সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। এই মেলার মধ্য দিয়ে আরো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য