-->
শিরোনাম

মুকুল থেকে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে: ভালো ফলনের আশা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
মুকুল থেকে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে: ভালো ফলনের আশা
গাইবান্ধায় গাছে গাছে আমের গুটি

গাইবান্ধা জেলায় আম গাছে মুকুল থেকে ‘গুটি' আসতে শুরু করেছে। গাছে গাছে 'আমের গুটি' দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯৫ ভাগ গাছে মুকুল আসে। মুকুল থেকে বের হওয়া গুটি টিকিয়ে রাখতে পরিচর্যায় সর্বচ্চ চেষ্ঠা করছেন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন হবে এবছর।

 

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমের মৌসুমে শুরুতেই বৃষ্টি হলে ফলনের জন্য উপকারী। গাছের গোড়ায় টানা পানি ঢেলেও যে লাভ না হতো, তার চেয়েও বেশি লাভ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ফলন ভালো হবে।মাঝে-মধ্যে হওয়া বৃষ্টিতে ফলন ভালো হয় বলে জানান গাইবান্ধা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বেলাল উদ্দিন।

 

তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে আমের গাছের পাতা থেকে ধূলা-ময়লা ধুয়ে গেছে। এতে পাতার মাধ্যমে মুকুলগুলো বেশি পরিমাণে সূর্যালোক থেকে খাদ্যগ্রহণ করছে। এতে গুটির ঝরেপড়া যেমন রোধ হবে, তেমনি আকারও বড় হবে। তাছাড়া বৃষ্টির পর দিন পর্যাপ্ত রোদ হওয়ায় মুকুলে কীটপতঙ্গ মারা যাবে।

 

কৃষি বিভাগ ও আম চাষিরা বলছেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে এবছর। মুকুল আসার আগে থেকে গাছের পরিচর্যা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকও প্রয়োগ করছেন তারা।

 

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হয়। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর আমের আবাদ বাড়ছে। ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি,ক্ষীরশাপাতি, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এখানকার আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয় থাকে। অনেক সময় চাহিদা মাফিক বিদেশে ও রপ্তানি হয়।

 

এবিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামসুন্নাহার ইয়াছমিন সাথি ভোরের আকাশকে জানান, আম বাগান পরিচর্যা বিষয়ক লিফলেট চাষিদের দেওয়া হয়েছে। মুকুল থেকে আম পাড়া পর্যন্ত নির্দেশনা লিফলেটে রয়েছে।

 

কেমিকেলমুক্ত আম উৎপাদনে প্রতি বছরের মতো এবারও চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version