-->

ময়মনসিংহ সদরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবে আরো ১১৪ পরিবার

মীর বাবুল, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ সদরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবে আরো ১১৪ পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আরো ১১৪টি পরিবার। আগামী ২২ মার্চ সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

 

তিনি জানান, উপজেলার ৯টি স্পটে ১১৪টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হবে। সব পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এর আগেও ৪৪৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। ২২ মার্চ আরো ১১৪টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। এ নিয়ে মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুক‚লে এ পর্যন্ত মোট ৫৫৯টি গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে।

 

সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড এইচ এম ইবনে মিজান জানা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রেকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উপজেলা টাঙ্কফোর্স কমিটি ও যৌথ সভার মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৮০০টি পরিবারকে ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

 

এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ২৫০টি, ২য় পর্যায়ে ৭৫টি, ৩য় পর্যায়ে (১ম ধাপ) ৬৫টি এবং ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ৫৫টি, গৃহনির্মাণের মাধ্যমে এই পর্যন্ত ৪৪৫টি ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। আগামী বুধবার সারা দেশের মতো ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ পর্যায়ে প্রথম ধাপে ১৪৪টি পরিবারের কাছে গৃহ হস্তান্তর করবেন।

 

একই সাথে উপকারভোগী পরিবারের কাছে জমির কবুলিয়ত দলিল ও খতিয়ান প্রদান করা হবে চলতি বছরের জুন মাস নাগাদ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণার প্রয়াস চলমান রয়েছে।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান, ঘরগুলো যেন মজবুত এবং টেকসই হয় সেই লক্ষ্যে এবারের ঘরগুলোর ফাটল ঠেকাতে উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই ঘরগুলো নির্মাণকাজ তোদের কি করা হচ্ছে।

 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সদর উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভ‚মিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা যাবে বলে আশা করা যায়। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড এইচ এম ইবনে মিজান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম প্রমুখ এবং উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version