-->
শিরোনাম

মেলান্দহে ব্রিজ থাকলেও রাস্তা নেই, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

জামালপুর প্রতিনিধি
মেলান্দহে ব্রিজ থাকলেও রাস্তা নেই, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
মেলান্দহে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজ

জামালপুরের মেলান্দহে ব্রিজ থাকলেও রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকার লোকজন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

 

উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া এলাকায় কনক রাইচ মিলের পেছনে মানুষের যাতায়াতের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ টাকা খরচ করে ব্রিজ বানানো হয়।

 

কিন্তু যাদের জন্য বানানো, তাদের কোনো উপকারেই আসছে না ব্রিজটি। কারণ, এক পাশে রাইস মিলে যাওয়ার রাস্তা আরেক পাশে এখন পর্যন্ত কোনো রাস্তা তৈরি হয়নি। ফলে শুধু দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।

 

জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের গ্রামীণ রাস্তায় ব্রিজ, কালভাট, নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ত্রাণের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

 

ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বয়রাডাঙ্গা উত্তরপাড়া, বাগুরপাড়া ও হরিপুরের আংশিক এলাকার মানুষ।

 

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও ব্রিজের অপর প্রান্তে সড়ক নির্মাণ হয়নি। বাধ্য হয়েই মানুষ কৃষিজমি দিয়ে ব্রিজে উঠে চলাচল করে। তবে বৃষ্টির সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। কারণ বৃষ্টি হলে উঁচু ব্রিজে আর উঠা যায় না।

 

বাগুরপাড়া এলাকার কৃষক হামেদ আলী বলেন, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাফেরা করতে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষিপণ্য দূর দিয়ে আনার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। জনস্বার্থে ব্রিজের অপর প্রান্তে যাতে সড়ক নির্মাণ করা হয়।

 

এসএসসি পরীক্ষার্থী জিহাদ মিয়া বলেন, ব্রিজ থাকলেও রাস্তা না থাকায় যাতায়াতে কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে অনেক সময় পোশাকে কাদা লাগে যায়। কাদা লাগার কারণে অনেক সময় ময়লা পোশাকেই স্কুলে যেতে হয় এই পথে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীদের।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আ. রাজ্জাক বলেন, যখন ব্রিজটি নির্মাণ হয়, তখন রাস্তা করা হয়। পরবর্তীতে বন্যার কারণে রাস্তা ভেঙে যায়।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version