-->
শিরোনাম

গোয়ালন্দে আশ্রয়ণের বাড়ি পেলেন তৃতীয় লিঙ্গের ৭ জন

জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী
গোয়ালন্দে আশ্রয়ণের বাড়ি পেলেন তৃতীয় লিঙ্গের ৭ জন
আশ্রয়ণে উপস্থিত হয়ে ৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের হাতে চাবি তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন

দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আজ নিজের নামে জমিসহ বাড়িও পেলাম। এই প্রথম আমাদের নিজের ঠিকানা করে দিলেন আমাদের ‘মা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার তৃতীয় লিঙ্গের দলনেতা মাহিয়া মাহি ওরফে মিলন।

 

মাহিয়া মাহি আরো বলেন, আমরা এতদিন ১৮/২০ জন মানুষ অসহায়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতাম। নানা লোকে নানা কথা বলত। ঘরভাড়া দিতে চাইত না। সামাজিকভাবে কেউ মেনে নিতে চাইত না।

 

প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেই দুর্বিষহ জীবন হতে মুক্তি দিয়েছেন। সামাজিক পরিবেশে নিজেদের ঘরে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর আগে আমরা দেশের নাগরিকত্বও পেয়েছি, ভোটও দিয়েছি। আমরা তার (প্রধানমন্ত্রী) প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা সমাজের সবার সঙ্গে অন্যদের মতো মিলেমিশে থাকতে চাই। এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

 

রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হোসেন মন্ডলের পাড়ায় নবনির্মিত আশ্রয়ণে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের হাতে আশ্রয়ণে নিজ নামে জমিসহ ঘরের চাবি তুলে দেন।

 

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ মন্ডল, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সালু, দৌলতদিয়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চম্পা আক্তার প্রমুখ।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ৭টি ঘর এখানকার ২০ শতাংশ খাস জমিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। আশা করছি ৭টি ঘরে ওদের (তৃতীয় লিঙ্গের) দলের ১৮/২০ জনের মতো যারা আছে সবাই মিলেমিশে থাকতে পারবে।

 

সমাজের লোকজনও তাদেরকে মানুষ হিসেবে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করবেন। তৃতীয় লিঙ্গের সবাই এখন থেকে আরো সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

আমরা তাদের যে কোনো প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক পাশে থাকব। তৃতীয় লিঙ্গের যে ৭ জনের মাঝে নিজ নামে জমিসহ ঘরের চাবি তুলে দেন তারা হলো, উপজেলার তৃতীয় লিঙ্গের রোকেয়া, অন্তরা, মাহিয়া মাহি ওরফে মিলন, নিলিমা, রনি চৌধুরী, আকাশ মন্ডল, শিমুল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version