বরগুনায় একটি তরমুজ খেতের তরমুজ লুট করার সময় বাঁধা দেওয়ায় তরমুজ চাষিকে কুপিয়ে জখম করেন। চাষিকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার রাতে সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুল ঢলুয়া স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তরমুজ চাষি মো. মিলন হাওলাদার ওই এলাকার মো. হামেদ হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত সাগর তিনিও একই এলাকার মো. দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে। মিলন ও সাগর সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান বলেন, সন্ধ্যার পরপরই ৫-৭ জন অপরিচিত ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় এসে মিলনের তরমুজ খেতে লুটতরাজ চালায় সাগর। এতে বাঁধা দিলে মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে ওরা। এ সময় আমি এগিয়ে এলে আমাকেও দাওয়া করে সাগর। পরে ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায় এবং মিলনকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তরমুজ চাষি মিলনের মা রওশনারা বেগম বলেন, শুধু তরমুজ লুট না, মূলত আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল সাগর। বরগুনা থেকে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে মিলনকে। বলা যায় না ছেলেটা আমার বাঁচবে কি না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, বিষয়টি খুবি দুঃখ জনক। বৃষ্টিতে তরমুজ চাষিরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। সাগরসহ এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত এধরনের মারামারি আমি অনেক বাড় শালিসি করেছি।
এ বিষয় সাগরের দাদি আইফুল বলেন, আমার নাতি এমন কাজ করতেই পারে না। কারা না কারা এ কান্ড ঘটিয়েছে সে দায় আমাদের ওপর দিচ্ছে। অভিযুক্ত সাগরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক দাবি স্থানীয়দের।
বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য