-->
শিরোনাম

পাচুরামের খাল গিলে খেয়েছে আপেল প্রোপার্টিজ

খুলনা ব্যুরো
পাচুরামের খাল গিলে খেয়েছে আপেল প্রোপার্টিজ
খালের একটি অংশ দখল করে এভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে আপেল প্রোপার্টিজ

খুলনার গুরুত্বপূর্ণ নদী-খালগুলোর মধ্যে ডুমুরিয়া গুটুদিয়া ইউনিয়নের পাচুরামের খাল অন্যতম। গুটুদিয়ার বুক চিঁড়ে বয়ে গেছে পাচুরামের খাল। বর্তমানে দখলের ফলে ভরাট হয়ে গেছে এ খাল। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, খালের শুরুতে ডোবার মতো থাকলেও বাকি পুরোটাই বালু দিয়ে ভরাট করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে আপেল প্রোপার্টিজ।

 

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনের কাছে আলাদা আলাদাভাবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা সবাই প্রায় একই রকম মন্তব্য করেন, তারা জানান সরকারি খাল ভরাট বেআইনি, যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপেল প্রোপার্টিজের মালিক কেসিসি’র প্যানেল মেয়র আনিচুর রহমান বিশ্বাস। তিনি ছাড়াও একাধিক ভূমি দস্যু এ খালের পুরো অংশই দখল করে ভরাট করে ফেলেছেন। ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্য এ খালের দাগ নম্বর ৪০০৪৯। খালের শুরুতে ৫১ ফুট প্রস্থ হলেও শেষে এসে ৩৫ ফুট প্রস্থ।

 

বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়। শুষ্ক মৌসুমে খালের এই পানির উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে চিংড়ি ও মৎস্যঘের। সূত্র বলছে, খালের পাড়ে অনেকেই মাছের ঘের করে ও সবজির আবাদ করে থাকে।

 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুহিনসহ এলাকাবাসী অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, আপেল প্রোপার্টিজের মালিক এবং অন্য দখলদারদের বাধা দেয়ার কারণে এলাকার নিরীহ অনেক বাসিন্দা এখন আতংকে দিন কাটাচ্ছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানোর পরেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এসব ভূমিদস্যুরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

 

গুটুদিয়ার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম বলেন, দখলদাররা সবাই প্রভাবশালী ও কোটিপতি। তাদের কাছে নেতৃত্ব ধোপে টিকছে না। সেক্ষেত্রে আমি নিজেকে ব্যার্থ বলব।

 

খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এ প্রতিবেদককে জানান, সরকার দুই ধরনের খাসজমি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি। কৃষিজমি বরাদ্দ নিয়ে সেটা কেউ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না।

 

এমন কোথাও হলে তদন্ত করে বরাদ্দ বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version