ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশের দুই লেন বেশিরভাগ সময় বালু ও খাদ্যবোঝাই ট্রাকের দখলে থাকছে। এতে অধিকাংশ সময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই যানজট আসন্ন ঈদযাত্রায় আরও তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের শিকারী কান্দা বাইপাস মোড় থেকে শুরু করে চোরখাই, বইলর, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা এবং ভালুকার পল্লী বিদ্যুৎ হাজীবাজার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী শিল্পাঞ্চল এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে বালু ও খাদ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই লেনে অন্যান্য যানবাহনও দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ সময়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এনা পরিবহনের বাস চালান কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে ভোরে বালুবোঝাই ট্রাক আসে। এসব ট্রাক কান্দা বাইপাস মোড় থেকে চুড়খাই হয়ে ভালুকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে রাত পর্যন্ত এসব ট্রাক দাঁড় করানো হয়। মহাসড়কের দুই লেনের পাশে এই ট্রাক থেকে বালু লোড-আনলোড চলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ত্রিশালের পর থেকে ভালুকা হয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত বাসও মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এসব কারণে সারা বছরই বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লেগে থাকে। ঈদ আসছে। ঈদে এই যানজট আরো তীব্র আকার ধারণ করবে। যাত্রীদের নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।’
স্থানীয় শাহা সুলতান রঞ্জু জানান, বালু ও খাদ্যবোঝাই ট্রাক ও বাসের কারণে মহাসড়কের দুই লেন সারা বছরই দখলে থাকে। এতে সব সময়ই এখানে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে এই যানজট আসন্ন ঈদুল ফিতরে আরো তীব্র আকার ধারণ করবে। যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, মহাসড়কে পার্কিং করা ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এবারো ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে কোনো যানবাহন পার্কিং করার সুযোগ দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহাসড়ক থেকে পার্কিং করা সব ধরনের যানবাহন উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা করা হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য