খেজুর পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম ফলের মধ্যে অন্যতম। সৌদি আরব, ইরাক এবং মিসরে খেজুর গাছ ও ফলের আদিকাল স্থান বলেই অনেকের মত। মরুভূমি এলাকায় যেখানে অন্য কোনো গাছপালা জন্মানো সহজ নয়, সেখানে খেজুর গাছ আল্লাহর এক অনন্য নেয়ামত।
খেজুর গাছ মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোয় চাষ হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এই ফলের চাষ অনেকের কাছে অবাস্তব। কিন্তু এই অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছেন নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বিলকৃষ্ণপুর ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ।
জানা যায়, আব্দুল মজিদ ২০ বছর সৌদি প্রবাসী ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় ইউটিউবে বাংলাদেশে খেজুর চাষের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন। প্রায় তিন বছর আগে দেশে আসার আগে সেখান থেকে মরিউম ও আজওয়া জাতের খেজুর বীজ নিয়ে আসেন।
সেই বীজ দিয়ে ৩০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন খেজুর গাছ। বর্তমানে তার বাগানে ৭০টা গাছ রয়েছে।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, ৩০ শতাংশ জমিতে শতাধিক সারি সারি খেজুর গাছ। প্রতিটি গাছ প্রায় ৬-৮ ফুট লম্বা। ইতোমধ্যে কয়েকটি গাছে ফলও আসতে শুরু করেছে। খেজুরগুলো গোলাকার। এক একটি গোছায় ৪০০ থেকে ৫০০টি খেজুর ধরেছে।
তবে খেজুরগুলো এখনো অপরিপক্ব। সৌদির খেজুর চাষ করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আব্দুল মজিদ।
এ বিষয়ে কথা হলে আব্দুল মজিদ বলেন, সৌদিতে থাকা অবস্থায় ইউটিউবে দেশে খেজুরের চাষ দেখে আগ্রহ হয়। পরে দেশে আসার সময় সেখান থেকে মরিউম ও আজওয়া জাতের খেজুর বীজ নিয়ে এসে রোপণ করি।
ইউটিউব দেখে বীজ রোপণ ও গাছগুলোর পরিচর্যা শিখেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ৮০টা খেজুর গাছ লাগালেও বর্তমানে ৭০টা খেজুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি গাছে খেজুর ধরেছে।
আশা করছি, সামনের বছরে প্রতিটি গাছে খেজুর আসবে। এতে করে ভালো লাভবান হব।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য