-->
শিরোনাম

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত
সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত

চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত সীতাকুন্ডে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। সৈকতটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মাধুর্য প্রতিনিয়ত সাড়া ফেলছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। সরকারি স্বীকৃতি লাভের পর নতুন নকশায় সৈকতটি আরো আকষর্ণীয় হয়ে উঠছে। লোনা-বালির বাতাসে শরীর ও মনের শিহরণ জাগিয়ে সৈকতটি পর্যটকদের আলিঙ্গনে কাছে টানছে প্রতিনিয়ত।

 

পৌর সদর থেকে ৩ কিলোমিটার পথ ধরে নামার বাজার রোড দিয়ে পশ্চিমে সমুদ্র তীরে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁষে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতটির অবস্থান। কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁষে ১ কিলোমিটার পথে পা ছোঁয়া মোড়ানো মাটির চেয়ার, মাটি ও ঘাসবেষ্টিত চেয়ারগুলোতে বসলে মনে হয় যেন ফোমে জড়ানো ঘরে সাজানো প্রাকৃতিক সোফা। আবার ঘাসবেষ্টিত মাটিগুলো দূর দৃষ্টিতে তাকালে চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড়ের ছোট ছোট টিলার মতো মনোরম দৃশ্য।

 

সৌন্দর্যে আর মাধুর্যে সাজানো মনোমুগ্ধকর গুলিয়াখালী সী-বিচ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মায়ার জালে কাছে টানছে। সৈকতে পর্যটকের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হোটেল রেস্তোরাঁর সংখ্যা, সৈকতমুখী সড়কগুলোতে বাড়ছে যাত্রীবাহী গাড়ি।

 

সম্প্রতি স্ত্রী রাফিকা জান্নাত ও একমাত্র মেয়ে তাসবিহকে সঙ্গে নিয়ে সৈকতটি পরিদর্শনে আসেন উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নস্থ ছোট দারোগারহাট গ্রামের জান মোহাম্মদ ভূইয়া বাড়ি থেকে আগত দর্শনার্থী তরুণ আর্কিটেক্ট মো. সোহরাব হোসেন সৌরভ, পৌরসদরস্থ দলিল লেখক কেদারখীলের বাসিন্দা মো. শাহ আরমান ও অভিনেতা মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।

 

ভ্রমণপ্রেমীরা জানান, সীতাকুন্ডকে দেশ-বিদেশে মর্যাদার আসনে অলঙ্কিত করেছে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। মনোমুগ্ধকর সৈকতটির সম্ভাবনার সঙ্গে রয়েছে সমস্যাও। এক্ষেত্রে সীতাকুন্ডে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের লিখনীর মাধ্যমে সি-বিচের উন্নয়ন ও সমস্যাবলি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নজরে আনতে হবে।

 

সৈকতটি ঘুরে এসেছেন কলাবাড়ীয়ার বাসিন্দা ডা. মো. কমল কদর ভূঁইয়া। তিনি জানান, কর্মব্যস্ততার মাঝে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় ও সুযোগ খুব একটা হয় না। পারিবারিক উদ্যোগে সী-বিচে ঘুরতে এসে মনটা বদলে গেল। অসংখ্য পর্যটকের আগমণে মুখরিত গুলিয়াখালী সি-বীচটি যেন নিজস্ব ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গণমাধ্যমের প্রচারণায় গুলিয়াখালী সী-বিচে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত সেনিটেশন ব্যবস্থা কিংবা আবাসিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারি সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য। কারণ গুলিয়াখালী সী-বিচ কারো ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

 

রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা, সু-রক্ষা কিংবা উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ একান্ত অপরিহার্য।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version