-->
শিরোনাম

মদ বিক্রি করে কেরু কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা মুনাফা

শিরিন জামান, চুয়াডাঙ্গা
মদ বিক্রি করে কেরু কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা মুনাফা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় অবস্থিত দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি শুধুমাত্র আখ থেকে চিনি, চিটাগুড়, বায়োফার্টিলাইজার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও উন্নত মানের দেশি-বিদেশি স্প্রিরিট (মদ) লিকার বাজারজাত করে ১০০ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

 

কেরু চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ৩ হাজার ৫৭২ একর নিজস্ব জমি নিয়ে ১৯৩৮ সালে দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। কেরুর নিজস্ব ২ হাজার ৪৫০ একর ও এলাকার আখচাষিদের আড়াই হাজার একর জমিতে আখচাষ শুরু করা হয়। আখ থেকে চিনি বের করে নেয়ার পর মোলাসেচ বা চিটাগুড়, ব্যাকাজ বা ছোবড়া ও প্রেসমাড বা গাদ নামে আরো ৩টি উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়।

 

দ্রব্য গুলো প্রক্রিয়া করে কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার, রেক্টিফাইট স্প্রিরিট, এক্সটা নিউট্রা এলকোহল, ডিনেচার্ড স্প্রিরিট, এবসুলিট এলকোহল তৈরি হয়। যা থেকে দেশি স্প্রিরিট (দেশি মদ) ও ৯টি ব্রান্ডের বিদেশি ফরেন লিকার (বিদেশি মদ) উৎপাদন করা হয়। ১৮০, ৩৭৫ ও ৭৫০ এমএল এর বোতলজাত করে বছরে ৩৯ লাখ ২০ হাজার বোতল ফরেন লিকার ও ২৬ লাখ লিটার কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার উৎপাদন করা হয়।

 

দেশে কেরুর উৎপাদিত পন্য (মদ) বিক্রি করার জন্য নিজস্ব ১৩টি ওয়্যার হাউস ও ৩টি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চলতি বছরে কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে দুটি নতুন বিক্রয় কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে, এবং রামু ও রাজশাহীতে দুটি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে কেরুর জিএম (প্রশাসন) জানিয়েছেন।

 

২০২২ সালে এ সব কেন্দ্রে কেরুর উৎপাদিত পন্য চিনি, বায়োফার্টিলাইজার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার ও ফরেন লিকার স্প্রিরিট বাজারজাত ও বিক্রয় মুল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা।

 

কেরু চিনিকল আখচাষি কল্যান সমিতির সভাপতি আ. হাননান ও সাধারণ সম্পাদক আ. বারি জানান, অল্প সময়ে হাইব্রিড জাতের আখ উৎপাদন ও আখচাষ বৃদ্ধি করতে পারলে কেরুর বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে পারে। পাশাপাশি চিনি ও আখের মূল্য বাড়াতে হবে, এবং আখের সঙ্গে সাথী ফসল করা বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে তারা জানান।

 

কেরু চিনিকলের ব্যাস্থপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, কেরু প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কেরুর উৎপাদিত পণ্য সর্বোচ্চ ৩৬৭ কোটি টাকা বিক্রয় হয়েছে, যা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিয়ে ৯টি কৃষি খামার ও চিনির লোকসান সমন্বয় করে ১০০ কোটি টাকা নিট প্রফিট হতে পারে। ২০২১ সালে নিট প্রফিট ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ ও মহামারি করোনার মধ্যে ২০২০ সালে নিট প্রফিট ছিল ২১ কোটি টাকা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version