-->
শিরোনাম

খরতাপে পুড়ছে ফসল, প্রচন্ড খরায় কৃষির ক্ষতির আশংকা

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
খরতাপে পুড়ছে ফসল, প্রচন্ড খরায় কৃষির ক্ষতির আশংকা
তাপদাহের কারণে ধানক্ষেতের মাটি শুকিয়ে গেছে

প্রচন্ড খরায় মধুখালীতে কৃষির উপর প্রভাব পড়েছে। খরতাপে পুড়ছে মরিচ পাটসহ অন্যান্য ফসল। আম, লিচুসহ মৌসুমী ফল ঝরে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় অপরদিকে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্র বিরাজ করায় চলছে পানির হাহাকার। বাড়িতে বসানো সাধারণ টিউবওয়েল এবং কৃষকের গভীর নলকূপ থেকে পানি উঠছে কম।

 

এছাড়া গ্রামের অধিকাংশ পুকুরের পানিও শুকিয়ে গেছে। কৃষি অফিস ও এলাকাবাসির কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ১টি পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ফসলের মাঠে সেচের মাধ্যমে চলছে ফসল উৎপাদন।

 

উপজেলার গাজনা, রায়পুর, আড়পাড়া, নওপড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ধানক্ষেতে সেচ দিতে বোরিং দিয়ে সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তুলতে হচ্ছে। তাপদাহের কারণে বোরো মৌসুমে ধানক্ষেতের মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় ৩ থেকে ৪ দিন পরপর সেচ দিতে হয়েছে কৃষকের। জমিতে পানি দিতে কৃষকের ভোগান্তির পাশাপাশি সেচ খরচ লাগছে অনেক বেশী।

 

উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আকরাম বলেন, ২০ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করছেন। একদিন পানি দিলে পরের দিন পানি শুখিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে একদিন পরপর সেচ দিতে হচ্ছে। কিন্তু সেচে প্রচুর খরচ বিধায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

 

গাজনা ইউনিয়নের বেলেশ্বর গ্রামের কৃষক সেলিম পরামানিক বলেন, তিনি মরিচ ও পাট চাষ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে খরায় মরিচ গাছ শুকিয়ে পরছে। সেচ দিয়ে চারা বাচাঁনোর চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, প্রচন্ড খরার কারণে মধুখালীর বেশ কিছু এলাকায় গভীর নলকূপ থেকেও পানি উঠাতে শক্তি প্রয়োগ করতে হচ্ছে। অনেক স্থানে টিউবয়েলে পানি ধরে রাখতে পারছেনা। পানির লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে স্বাভাবিক ১৮/১৯ ফুটের মত পানির স্থর থাকার কথা সেখানে উপজেলার ডুমাইনে ভূগর্ভের পানি স্তর প্রায় ২৩/২৪ ফুটের বেশী নীচে নেমে গেছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার আলভির রহমান জানান, অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপে কৃষির উপর প্রভাব ফেলেছে। তবে তা এখনো অত্যাধিক ক্ষতি হয়নি।

 

দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং জেলায় এ বছর অধিক তাপমাত্রা বিরাজ করায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অধিক খরচে তারা সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি সরবরাহ করছে। খরতাপে বোরো ধানের ক্ষেত, মরিচ পাট, আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হবার উপক্রম।

 

তবে তিনি বলেন আবহাওয়া আরও কিছুদিন এমন অবস্থা বিরাজ করলে সামনে ফসলের অত্যধিক ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version