-->

হিমাগারে আগুন, তদন্ত করবে ফায়ার সার্ভিস

চট্টগ্রাম ব্যুরো
হিমাগারে আগুন, তদন্ত করবে ফায়ার সার্ভিস

চট্টগ্রামে হিমাগারে (কোল্ড স্টোরেজ) লাগা আগুনের কারণ জানতে তদন্ত করবে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার রাতে নগরের বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী এলাকায় অবস্থিত হাজী জনতার কোল্ড স্টোরেজ নামে শুঁটকির হিমাগারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিটের দীর্ঘ চেষ্টার পর সকাল ৬টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় অবস্থিত হাজী জনতার কোল্ড স্টোরেজ নামে একটি শুঁটকির হিমাগারে আগুন লাগে।

 

এতে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। কীভাবে আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হিমাগারে একধরনের অ্যামোনিয়া গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

 

ওই গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটলে চারতলা ভবনটির নিচ তলার দেয়াল ধসে পড়ে। হিমাগারে প্রচুর শুঁটকি ছিল। এখন পর্যন্ত আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে- তা নির্ধারণ করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানা যাবে। দুর্ঘটনায় পাঁচ জন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

 

চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুর উল্লাহ আশেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ঘটনায় আহত চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো.মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২)। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’

 

বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী এলাকায় একটি হিমাগারে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ফলে হিমাগারে থাকা গ্যাস চারদিকে চড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের শ্বাস কষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুর্ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version