-->
শিরোনাম

কালীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
কালীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইরি ধানের ক্ষেতে কৃষক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হঠাৎ ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার শিমলা-রোকনপুর ও ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের ধান চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার চাষি।

 

গত সোমবার বিকেল ৩টায় ঝড়ের সাথে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে হওয়া শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কয়েক হেক্টর জমির কাঁচা-পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়। গাছ থাকলেও ঝরে পড়েছে ধান। এ বছর ইরি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৫ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা, বানুড়িয়া, ত্রিলোচনপুর, সিংদহ, পাতিবিলা এলাকায় পেয়ারা, কলা ও ড্রাগন ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ধান চাষি নুপুর শেখ জানান, এবার ধান চাষে সেচ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় খরচ পড়েছে বেশি। এই শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবে পোষানো সম্ভব নয়। আমার জমিতে যে ধান আছে তা একটাও ঘরে তোলা যাবে না। সার ও সেচের দাম কীভাবে দিব সেই চিন্তায় আমার মাথায় হাত।

 

পেয়ারা চাষি কুতুবউদ্দিন জানান, কালকের শিলাবৃষ্টিতে বাগানের প্রায় এক থেকে দেড়শ মণ পেয়ারা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও বড় পেয়ারার সাথে ছোট ছোট গুটি পেয়ারাও ঝরে গেছে। নতুন করে গুটি না আসা পর্যন্ত পেয়ারা তোলা আর সম্ভব হবে না। ঝরা পেয়ারাও বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

ফুল চাষি জামাল হোসেন জানান, যে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে তাতে ফুল বাগানের সব ফুল ঝরে গেছে। ফুল গাছের সব মাথা ভেঙে গেছে। প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে ফুল চাষে। এখন যে অবস্থা তাতে ফুল বিক্রি করে টাকা উঠানো সম্ভব না।

 

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব আলম রনি বলেন, হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে করে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় আম, ড্রাগন, কলা, ফুল ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি।

 

ভোরের আকাশ/ আসা

মন্তব্য

Beta version