-->

সৌদিতে নিহত শ্যালক-দুলাভাইর জানাযা এক মাস পর সম্পন্ন

বরগুনা প্রতিনিধি
সৌদিতে নিহত শ্যালক-দুলাভাইর  জানাযা এক মাস পর সম্পন্ন

মক্কায় ওমরা হজ করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে বাংলাদেশে পৌঁছেন সৌদিতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শ্যালক দুলা ভাইয়ের লাশ।

 

শনিবার সকাল সারে ১০ টায় বেতাগীর হোসনাবাদ গ্রামে সাগরের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ৯ টায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছৈলাবুনিয়ায় নিজ বাড়িতে মোজাম্মেলের জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

তারা হলেন- বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বটতলা এলাকার জোমাদ্দারের ছেলে মো. সাগর জামাদ্দার (২৩) ও তার দুলাভাই পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার মো. মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মক্কায় ওমরা হজ করে ফেরার পথে সৌদি আরব প্রবাসী তারা দুইজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। বাংলাদেশ সময় শনিবার ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সৌদি আরবের আলগাছিমের উনাইয়া নামক স্থানে ব্যবসা করতেন। ওমরাহ হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। মক্কায় ওমরা হজ পালন শেষে শনিবার কর্মস্থলে ফেরার পথে তাদের বহন করা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পাথরের পাহাড়ারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

 

এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। দীর্ঘ ১ মাস ৪ দিন অপেক্ষার পর তাঁদের মরদেহ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর এবং সৌদি আরব থেকে লাশবাহী বিমানটি বিকেল সাড়ে ৩ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তাদের পরিবার লাশ ও আর্থিক অনুদান গ্রহণ করে।

 

সাগর জোমাদ্দারের স্ত্রী শান্তা আক্তার বলেন, সাত বছর প্রেমের পর সাগরের সাথে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু দুইমাসের বেশি আমরা সংসার করতে পারিনি। কিন্ত এত অল্প সময়ে আল্লাহ তাকে না ফেরার দেশে নিয়ে গেল। আমি এখন কার জন্য বাচঁবো! তবুও একবারের জন্য হলেও তার মুখটা দেখতে পেরে আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

জোমাদ্দারে স্ত্রী রুবিন ইয়াসমিন বলেন, ২৩ বছর আগে ব্যবস্যা কাজে আমার স্বামী সৌদি আরবে যায়। ৮ বছর আগে দেশে আসে। ছেলে মেয়ে মানুষের মতো মানুষ করবে। কিন্তু তার আগেই কিছু না বলে চলে গেল। ছেলেমেয়ের এত বড় দায়িত্ব আমি কিভাবে পালন করব।

 

হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় মরাদেহ বরগুনা গ্রামের বাড়িতে পরিবারের কাছে পৌঁছেছে এবং জানাজা নামাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version