নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে বহুগামী স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূ নাজমুন নাহার একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রতিকার চেয়ে ঘুরছেন সমাজপতিদের দ্বারে। গৃহবধূর স্বামী প্রভাবশালী হওয়ায় কোন প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন। অসহায় ওই গৃহবধূকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে স্বামী শেখ তাহিদুল ইসলাম, শশুর শেখ নূর ইসলাম ও তার শাশুড়ি হাবিবা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের শেখ নূর ইসলামের পুত্র শেখ তাহিদুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের কন্যা নাজমুন নাহার (২৩) কে বিয়ে করেন।
বিয়ের কাবিনে ৫ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হয়। গত ইংরেজি ২৪-০৫-২০২১ সালে বিবাহের পরে তাদের ঔরশে জন্ম নেয়া শেখ নিয়াজুল ইসলাম নামের এক বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এরপর থেকে যৌতুক লোভী তাহিদুল যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন শুরু করে। বিয়ের সময় কন্যার পিতা ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র উপঢৌকন হিসেবে জামাতাকে প্রদান করে। এতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে যৌতুক হিসেবে আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন।
স্বামী তাহিদুলের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে ভুক্তভোগী নাজমুন নাহারকে গত ১৭-০১-২০২৩ তারিখ রাত সাড়ে ৮ টায় গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় গত ২২-০১-২০২৩ তারিখ ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে বরগুনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৫৯/২০২৩।
সে বর্তমানে চেক জালিয়াতি, নারী নির্যাতন ও অপহরণ এবং মোটরসাইকেল চুরির মামলাসহ ৩ টি মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ভাগা গ্রামের তাহিদুলের পিতা নূর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে দুবাই পরবাসী তাহিদুলের কাছে ভিডিও কলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে দুবাই আছি। আমি পরিস্থিতির শিকার। তবে তিনি একাধিক বিয়ে ও সন্তানের কথা স্বীকার করে বলেন বাড়িতে এসে বা লোক মারফত মামলা মোকাবেলা এবং স্ত্রী নাজমুন নাহারের সাথে মিমাংসা করে দেনাপাওনা বুঝে দেওয়া।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য