-->
শিরোনাম

রণ পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সাহাবুউদ্দিন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রণ পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সাহাবুউদ্দিন
রণ পায়ে হাঁটছেন সাহাবুউদ্দিন

ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে শখের বশে ‘রণ পা’ ব্যবহার করে হাঁটতেন গাইবান্ধার সাহাবুউদ্দিন। সেটি ভালো লেগে যায়। এরপর থেকে তিনি আর ‘রণ পা’ ছাড়তে পারেননি। ৬৫ বছর বয়সে এসেও তিনি হাঁটেন ‘রণ পা’ ব্যবহার করে। তার হাঁটার দৃশ্য অনেকে উৎসুক হয়ে দেখেন। কেউবা আবার তাঁর ‘রণ পা’ নিয়ে হাঁটার চেষ্টা করেন।

 

বিশেষ কায়দায় বাঁশের তৈরি এক জোড়া লাঠিকে স্থানীয় ভাষায় ‘ঠ্যাংগুয়া’ বলে, যা ‘রণ পা’ হিসাবে পরিচিত। গ্রামীণ বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে আগে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে ‘রণ পা’ ব্যবহার করে হাঁটার প্রচলন ছিল। এটি গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্যের একটি অংশ। এই হারানো খেলার ঐতিয্যটি ধরে রেখেছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের রিফাইতপুর গ্রামের সাহাবুউদ্দিন।

 

তিনি পেশায় দিনমজুর। সময় পেলেই বের হন রণ পা নিয়ে। নিজের পায়ে হাটার চেয়ে রণ পায়ে ভর করে হাটতে আনন্দ পান তিনি। মাইলের পর মাইল এভাবে মনের আনন্দে ঘুড়ে বেড়ান তিনি। জমির ধান দেখাশুনা, বাজার করা এমনকি রণ পা দিয়ে পুকুরের পানিতেও হাটতে পারেন সাহাবু উদ্দিন । ছোটবেলা থেকে রণ পা দিয়ে চলাচল করায় বৃদ্ধ বয়সেও কোন ক্লান্তি ছাড়াই হাটেন রণ পা দিয়ে।

 

বাদিয়াখালী বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী আতিকুর রহমান বলেন, রাস্তা দিয়ে সাহাবুউদ্দিনের এমন চলাচলে প্রায় উৎসুক জনতা ভীর করেন। আনন্দ পান হারানো খেলার ঐতিহ্যে ফিরে পেয়ে। তার এমন হাটা দেখে আমাদের এলাকার অনেকে তার মতো রণ পা দিয়ে হাটা শিখছেন অনেকে আবার চেষ্টাও করছেন হাটতে। হারানো এই গ্রামীন ঐহিত্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন তিনি।

 

এ বিষয়ে বাদিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নুর আলম ভোরের আকাশকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে রণ পা’র মাধ্যমে গ্রামবাংলার ঐতিয্য ধরে রেখেছেন সাহাবুউদ্দিন। তাঁর লাঠিতে হাঁটা দেখে অনেকের ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

 

প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার ও মোবাইলের আসক্তি কমাতে এ ধরনের খেলা গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version