রাজবাড়ীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে ভুয়া তিন ডিবি পুলিশ আটক। আটককৃতরা রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদিপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল মোতালেব মল্লিক ওরফে খুদে মল্লিকের ছেলে মো. মুন্না মল্লিক ওরফে মুন্নাফ (২৬), বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মো. বিল্লাল মোল্লার ছেলে সুলতান আহম্মেদ শান্ত (২০), গোবিন্দপুর গ্রামের মো. জহেদ মন্ডলের ছেলে মো. তুষার মন্ডল (২০)।
বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. মনিরুজ্জামান খান। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের সোকেশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সন্টু নন্দী (৪৭) একজন বৈধ মদের পারমিট হোল্ডার। গত ১৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার সময় ফরিদপুর ফরেন লিকার সপ থেকে ৭ ইউনিট হুইস্কি পারমিট ইস্যু করেন। পরে বাসে করে আলাদিপুর আসেন।
সেখান থেকে বহরপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদিপুর কোমরপাড়া মেইন রোডে পৌঁছামাত্র দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৪ জন তার অটোরিকশার গতি রোধ করে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে পুলিশের আইডি কার্ড দেখায়।
তাকে জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে চেক করার কথা বলে নামিয়ে তার কাছে থাকা ৭ বোতল হুইস্কিসহ পাসপোর্ট অফিসের পেছনে আলাদিপুর মধ্যপাড়া নিয়ে গিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে। তার কাছে বৈধ পারমিটের ৭ বোতল হুইস্কি এবং মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি আরো বলেন, এরপর তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ভুয়া ডিবির খপ্পরে পড়েছে বুঝতে পেরে রাজবাড়ী জেলা ডিবি পুলিশকে জানায়।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর মাতুব্বর, এসআই মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, এসআই মো. মোতালেব হোসেন, এসআই দীপন কুমার মন্ডল, এএসআই শেখ রাজীব হোসেন, এএসআই মো. মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর এবং বালিয়াকান্দি থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে বিকাশের এসআরসহ ভুয়া ডিবির ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। এরমধ্যে মুন্না মল্লিকের কাছ থেকে একটি পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। আসামি রানা পলাতক আছে। আসামি মুন্না রাজবাড়ী জেলার বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটার সেলস অফিসার (ডিএসও) হিসেবে কর্মরত বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের সোকেশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সন্টু নন্দী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য