আমের রাজধানী বলে খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে আমপাড়া ও বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের দেওয়া ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার-অনুযায়ী গুটি আম কেনাবেচা করা যাবে। তবে আম পরিপক্ব সম্পন্ন না হওয়ায় আরো ৮ থেকে ১০ দিন পর থেকে আম পুরোপুরি পাড়া ও বাজারজাত করা শুরু হবে বলে জানান চাষিরা। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বছর ঘুরে আবার এলো মধু মাস। আর মধু মাস এলেই মনে পড়ে যায়, আম খাওয়ার কথা। সেই আম স্বল্প পরিসরে গাছ থেকে নামানো এবং বাজারে বিক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। সেই তুলনাই এবার আমের উৎপাদনও বাড়বে।
ইতোমধ্যে বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়েছে।
‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আজ ৪ মে গুটি আম, ১৫ মে গোপালভোগ, ২০ মে লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানিপছন্দ, ২৫ মে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত, ৬ জুন ল্যাংড়া, ১৫ জুন ফজলি, ১০ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম এবং ২০ আগস্ট ইলামতি, আম গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করা করা যাবে। আর কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, গত বছর ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিল। আর আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ টন। চলতি বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯১২ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, ভোক্তাদের জন্য বিষমুক্ত বিশুদ্ধ আম নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মত এবারো আম ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এই অঞ্চলের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করবে আম। কেউ অসাধু উপায়ে আম বাজারে আনার চেষ্টা করলে পুলিশকে নজরদারি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য