-->
শিরোনাম

দুই বছরেও নির্মিত হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মো. ফিরোজ, বাউফল (পটুয়াখালী)
দুই বছরেও নির্মিত হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
মই বেয়ে এলাকাবাসী সেতু পারাপার হচ্ছেন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। দুই বছর আগে মূল অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও অ্যাপ্রোচের অভাবে সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। সরেজমিন পরিদর্শনকালে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু সেতুর অ্যাপ্রোচ নির্মাণ না করায় সোনামুদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া এসএস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

 

কালাম খান নামের এক শ্রমিক বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় আমরা কাঠ দিয়ে মই বানিয়ে দিয়েছি। এরপর থেকে দুই পাশের মই বেয়ে এলাকাবাসী সেতু পারাপার হচ্ছেন।

 

তহমিনা বেগম নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, আমরা প্রতিদিন এই সেতু পারাপার হয়ে ফসলের মাঠে কাজ করতে যাই। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতুতে উঠতে হয়।

 

আসমা আক্তার ও শিউলি বেগম নামের দুই শিক্ষার্থী জানায়, এই সেতুতে উঠতে গিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে সেতুতে উঠতে গিয়ে আছড়ে পড়ে কয়েকজনের পা ভেঙে গেছে। এখন সেতুটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, একাধিকবার তাগাদা দেয়ার পরও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য মাটির বাঁধ তৈরি করে বালু ভরাটের উদ্যোগ নেয় ঠিকাদার।

 

আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, মাটির বাঁধ তৈরির পর লাপাত্তা হয়ে যান ঠিকাদার।

 

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, অচিরেই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, কাজটি ফেলে রাখায় আমরাও বিপাকে আছি। এলাকার লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে আলাপ করে শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version