মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাকদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ওই এলাকার জামাল মৃধার সাথে শাহাদাৎ হাওলাদারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় উভয়পক্ষ। ২০টিরও বেশি বসতঘর ও দোকানপাট ভাংচুর-লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেখা বেগম বলেন, হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। বাধা দিতে এলে বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইমদাদুল হক নামের একজন বলেন, আমরা কোনো দলবল করি না। অথচ আমার একটি প্রাইভেটকার ও বসতঘর ভাংচুর করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পাকদী এলাকার মুদি দোকানি নাহিদ খলিফা বলেন, আমার দোকান থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকাও লুট করে নেয় তারা। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বিচার দাবি করছি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, জামাল মৃধার সাথে শাহাদাৎ হাওলাদারের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। রাতে তাদের লোকজনের মাঝে একটি অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া টাকা-পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়। টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। ওই দুপক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য