-->
শিরোনাম
হুমকিতে পরিবেশ

মহাসড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মহাসড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়, ভোগান্তিতে জনসাধারণ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ পন্থিছিলা-শেখ পাড়ার মাঝামাঝি পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি)

সীতাকুন্ড পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পন্থিছিলা। উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ পন্থিছিলা ও শেখ পাড়ার মাঝামাঝি পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত সীতাকুন্ড পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি।

 

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা এ ভাগাড়ে নিয়মিত ফেলায় আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

 

ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে কসাইখানা। জবাইকৃত পশুর রক্ত-বর্জ্যে পরিবেশ দূষণে যোগ করেছে আরেক যন্ত্রণা। অতিষ্ঠ জনসাধারণের অসহায়ত্বের যেন শেষ নেই।

 

কেদারখীলের বাসিন্দা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে। বাতাসের গতি বাড়লে ভাগাড়টির ছড়ানো দুর্গন্ধ আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

 

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিক উদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হোক। আমি পটিয়া পৌরসভার শান্তির হাটে দেখেছি তাদের ভাগাড়টি অনেকটা নির্জন স্থানে খালের পাড়ে অবস্থিত। সীতাকুন্ড পৌরসভার আবর্জনার ভাগাড়টিও অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেয়া হোক।

 

পন্থিছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমদ জানান, পন্থিছিলা উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেনে অধ্যয়নরত দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি অতিক্রম করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে যাতায়াত করে।

 

আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরো করুণ আকার ধারণ করে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

 

সীতাকুন্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম জানান, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ভাগাড়টি এ মুহূর্তে সরানো সম্ভব নয়।

 

ভাগাড়টি সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নিতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মন্তব্য

Beta version