-->
শিরোনাম

উদ্বোধন হচ্ছে আধুনিক পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার, দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে পরিবেশ

নীলফামারী প্রতিনিধি
উদ্বোধন হচ্ছে আধুনিক পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার, দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে পরিবেশ
নীলফামারী পৌরসভার নবনির্মিত স্যানিটারি লান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার

নীলফামারীতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে স্যানিটারি লান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার। নীলফামারী পৌরসভার মার্কাস মসজিদ এলাকায় নির্মিত এই পরিশোধনাগারে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা, মল পরিশোধন করে প্রাকৃতিক জৈব সার তৈরি হবে।

 

এতে দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে পরিবেশ। তবে ৬ মাস আগে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখন রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রকল্পটি চালু হলে নিরাপদ শহর গড়ে উঠবে। দ্রুত এটি চালুর দাবি স্থানীয়দের।

 

নীলফামারী পৌরসভা সূত্র জানায়, তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩.৬৯ একর জমিতে বসানো হয়েছে গৃহস্থালি বর্জ্য আর মানববর্জ্য পরিশোধনের আলাদা দুটি প্ল্যান্ট। আধুনিকভাবে বর্জ্য পরিশোধনের জন্য প্লান্ট দুটিতে বসানো হয়েছে চার স্থরের বিভিন্ন সাইজের পাথর আর ফিল্টার। একই প্রকল্পে নিষ্কাশন হবে পানি, তৈরি হবে জৈব সার।

 

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার ময়লা ফেলার নির্ধারিত তেমন জায়গা নেই। ব্যক্তি মালিকানা জমি ভরাটের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা। ফলে মশামাছির উপদ্রব বৃদ্ধিসহ দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পরিবেশের অবনতি ঘটলেও বর্তমানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পরিশোধনাগার। উন্নত পরিশোধনাগারটি চালু হলেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে পরিশোধনাগারটি অতি দ্রুত চালু করার দাবি স্থানীয়দের।

 

প্রকল্পটির ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, শোধনাগারটির নির্মাণকাজ প্রায় ৬ মাস আগেই শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে এখানকার পরিশোধিত পানি ড্রেনের মাধ্যমে যাবে নদীতে। মানববর্জ্য থেকে উৎপাদিত স্যার ব্যবহার করা যাবে। গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত সার ব্যবহার করা যাবে কৃষিকাজে। এতে উপকৃত হবে পৌরবাসী।

 

পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী হামিদুল ইসলাম বলেন, এই পরিশোধনাগারে দুটি প্লান্ট বসানো হয়েছে। একটা দিয়ে মানববর্জ্য পরিশোধন হবে আর অপরটি দিয়ে বাসাবাড়ির বর্জ্য। গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই প্রকল্পটি উদ্বোধন হবে।

 

নীলফামারী পৌরসভার মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। কারণ আগে দেশে যখন জনসংখ্যা কম ছিল দেশে পর্যাপ্ত জমি ছিল ওই সময় মানুষ সুইপারদের মাধ্যমে ময়লা মাটিতে চাপা দিত। কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এবং অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর তৈরির কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সে ময়লা আর যেখানে সেখানে ফেলার কোনো সুযোগ নেই।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলানোর তেমন কোনো স্থান নেই। আমরা আপাতত বিভিন্ন গর্তে ময়লাগুলো ফেলছি। তবে ময়লা ফেলা নিয়ে আর তেমন চিন্তা নেই। দেশে একযোগে ২৭টি আধুনিক পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার তৈরি হয়েছে।

 

এখানে গৃহস্থালির বর্জ্য আর মানববর্জ্য পরিশোধন করা হবে। তবে এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। আশা করছি খুব শিগগিরই প্রকল্পটি চালু হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version