দুটি কিডনি নষ্ট, লিভার ফুলে গেছে। শরীরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী শরিফুল। বাঁচার আকুতি তার। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার স্ত্রী শিফালী বেগম।
মো. শরিফুল শেখ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মৃন্ময় বিশ্বাসের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার কিডনি ও লিভার নষ্ট হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
তার পরিবার জানিয়েছে, মো. শরিফুলের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। শরিফুলের নামে ৪ শতাংশ জমি ছিল যার ১ শতাংশ বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়েছি। আরও চিকিৎসা করাতে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। তার গরিব স্ত্রীর পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। সমাজে বিত্তশালী, ধনবান ও শুভাকাক্সক্ষীদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন।
জানা যায়, ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের উথলী আমডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রী, ২ ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন শরিফুল। কৃষি কাজ ও ভ্যান চালনা ছিল তার মূল পেশা। ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখেই দিন যাচ্ছিল তার কিন্তু মরণব্যাধি বিভিন্ন রোগে থাবা দিয়েছে।
শরিফুলের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীরা জানান, সে একজন ভালো লোক। কিছুদিন আগে তার কিডনি ও লিভারে রোগ ধরা পড়ে। সে অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার বাবা-মা নেই। নিজেরও সামর্থ্য নাই চিকিৎসা করার। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
স্ত্রী শিফালী বেগম বলেন, ঘরে এমন কিছু নেই যে বিক্রি করে তার চিকিৎসা করব। ৪ শতাংশ জমি ছিল ১ শতাংশ বিক্রি তরে চিকিৎসা করিয়েছি। প্রতিদিন ২০০ টাকার ওষুধ ক্রয় করতে হয়। নিজের ছেলে-মেয়েদের ৩ বেলা খাবারই দিতে পারছি না, ওষুধ কিনব কোথা থেকে। অনেক অভাবে আছি।
নওপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. জবেদ আলী বলেন, লোকটি খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম টিপু বলেন, একেবারেই গরিব এ ব্যক্তিটির যে রোগ তা তার পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় নির্ভার করা সম্ভব নয়। আমি তার জন্য সাহায্যের চেষ্টা করব।
সাহায্য পাঠানোর জন্য: তার স্ত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বর- ০১৩১৬৩৪৫৫৮৫
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য