-->
শিরোনাম

পাংশায় সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী
পাংশায় সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
বালুমিশ্রিত এই খোয়াগুলো যেন সম্পূর্ণ মাটির দলা

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুরশুনদিয়া গ্রামের একটি সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।

 

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, অন্য সাইডের মালমাল বেচে যাওয়ায় এই সড়কে এনে মালগুলো রাখা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দ্রুত অপসারণ করতে বলেছে উপজেলা প্রকৌশলী।

 

পাংশা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পের (ওজওউচ-৩) এর আওতায় ইউনিয়নের বিনোদপুর-ধানুরিয়া থেকে এতেম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ১১১০ মিটার সড়ক নির্মাণকাজের দরপত্র হয়। কাজটি পায় রাজবাড়ীর রাজা অ্যান্ড কোং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

সড়কটি নির্মাণে চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৯৭ লাখ ৬৮৮ টাকা। সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে। কাজ সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এক বছর।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি নির্মাণকাজ চলমান। চলছে ইট ভেঙে খোয়া বানানোর প্রস্তুতি। ইট ভাঙার কাজ করছে কয়েকজন শ্রমিক।

 

এ সময় স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের জন্য কয়েক দিন ধরে ইট ভাঙা হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙা খোয়ার সঙ্গে পুরোনো খোয়া এনে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুরোনো সেই খোয়াগুলো সম্পূর্ণ মাটির দলা। হাত দিয়ে ডলা দিলেই ভেঙে গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে।

 

এই নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হলে অল্পদিনের মধ্যে সড়কটি ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। একই সঙ্গে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

 

এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জাকির হাসান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি নতুন খোয়ার পাশাপাশি কিছু পুরোনো বালুমিশ্রিত খোয়া রেখেছে। বালুমিশ্রিত খোয়াগুলো নিম্নমানের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বালুমিশ্রিত খোয়াগুলো দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

 

জানা গেছে, সড়ক নির্মাণের কাজ করছে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই ইদ্রিস মন্ডল। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার মৃগী এলাকায় এলজিইডির একটি প্রজেক্টের কাজ চলছে। সেখানের কিছু মালামাল বেচে যাওয়ায় সেগুলো এই সড়কে এনে রেখেছি।

 

তবে মালগুলো নিম্নমানের না। এই মাল নিয়ে অনেকেই কমপ্লেন জানাচ্ছে বলে জানিয়েছে থানা ইঞ্জিনিয়ার। মালগুলো তিনি অপসারণ করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version