-->
শিরোনাম

ঝিনাইদহের হাটে কেনাবেচা হয় মানুষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হাটে কেনাবেচা হয় মানুষ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাজারে সপ্তাহে ২ দিন প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ শ্রম বিক্রি করে

বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না এমন জিনিস খুব কম আছে। তবে কখনো কি শুনেছেন বাজারে মানুষ বিক্রি হয়। এমনি একটি প্রাচীন হাট রয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাজারে।

 

সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার হাটবারে প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ এই হাটে ওঠে বিক্রি হওয়ার জন্য। সেখান থেকে চাষিরা দরদাম করে তাদের নিয়ে যান ক্ষেতে কাজ করানোর জন্য। শুধু যে ধান কাটা মৌসুমে তারা শ্রম বিক্রি করতে আসে তা নয়।

 

বছরের অন্যান্য ফসলের সময়ও তারা আসে এই হাটে। শুনতে অবাক লাগলেও দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মানুষের শ্রম বেচাকেনা হয়ে আসছে এই হাটে। এ হাটে চাষিরাও যেমন তাদের কাজের লোক সহজে পায়। আবার এসব শ্রমজীবিরাও তাদের শ্রম বিক্রি করতে পারে ইচ্ছামতো।

 

তবে কিছুটা ভাটা পড়েছে এই শ্রমের বাজারে কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় শ্রম বিক্রি কমেছে। এই কৃষি শ্রমিকরা অভিযোগ করেন ধান কাটা মেশিন আসায় তাদের তেমন চাহিদা হচ্ছে না।

 

অনেক শ্রমিককে বেকার সময় কাটাতে দেখা গেছে। শ্রম বিক্রি করতে আশা বেশিরভাগ লোকই জেলার বাইরে থেকে আসে। রংপুর, পাবনা, ফরিদপুর, লালমনিরহাট, নঁওগা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ছাড়াও জেলার শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ শ্রম বিক্রি করতে আসে এই হাটে। এই হাটটি বসে কালীগঞ্জ বাজারের মুরগি হাটা নামক স্থানে।

 

পাবনা থেকে আসা জয়নুদ্দিন নামে এক কৃষি শ্রমিক জানান, তিন দিন ধরে বাজারে আসছি গ্রেস্থ খুব কম। যা একটু কাজ হচ্ছে তা আবার দামে মিলিচ্ছে না।

 

কুষ্টিয়া থেকে জামাল হোসেন নামে এক শ্রমিক জানান, কাজে আইছি শুনিছি যে ১২০০ থেকে হাজার টাকা জনের দাম। কিন্তু এখন সে লেবারের দাম কম ৬০০-৭০০ এ রকম দাম হচ্ছে তাতে আমারে পোষাচ্ছে না। আবার বিঘা চুক্তিতেও কাজ করে পোষাচ্ছে না। আবার এই মেশিন আসাতে আমারে বেশি অসুবিধা হচ্ছে।

 

যেখানে আমার ১ হাজার লেবার খাটব সেখানে মেশিন আসায় আমাদের কাজ হচ্চে না। আজ তিন দিন হলো বাড়ি থেকে আসছি।

 

তাদের এই শ্রমের বাজারে এখন কৃষিতে যোগ হয়েছে প্রযুক্তি। এখন একটি মেশিনে কাজ করে প্রায় ১০০ শ্রমিকের। তাই কৃষকরা মেশিনের প্রতি আগ্রহ বেশি। সময় কম লাগে এবং খরচ ও কম হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version