নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নটখানা এলাকায় অবস্থিত নীলকুঠির আশপাশের পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে হরেক প্রজাতির ফসল। উঠতি ফসলের সবুজে সমারোহে ভরে গেছে মাঠ, ফলনো হয়েছে বাম্পার।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার। সে বিষয়ে বিশেষ তৎপর বর্তমান জেলা-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম। তিনি নীলফামারী জেলায় যোগদানের পর থেকেই নটখানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশের প্রায় ২৫বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য জোড় তৎপরতা চালায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে শসা, পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, ধোনদল, বেগুন, পুঁইশাক, লালশাক, মরিচ, ডাটা, লাউ, ভুট্টাসহ নানা জাতের ফসল। এসব ফসল পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এখানে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে আশপাশের কৃষকদের।
ওই এলাকার চাষি গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এখানকার এ জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশ সুপার এখানে এসে বিভিন্ন ফসল আবাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর থেকে এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। চাষিরাও অনেক ক্ষেত্রেই এরকম ফসল ফলাতে পারে না।
চাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, নীলকুঠির আশপাশের জমিগুলো আগে পতিত ছিল। এখন পুলিশ সদস্যরা এখানে চাষাবাদ করছে। সবজি বাগানগুলো চোখে পড়ার মতো।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের মন্দা অর্থনীতি অবস্থা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন কোনো জমি যাতে অযথা ফেলে রাখা না হয়।
সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক আইজিপিও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশের যেখানেই পতিত জমি আছে সেখানেই ফসল ফলাতে। তাছাড়া পুলিশের যেখানেই পুকুর বা ডোবা আছে সেখানেও মাছ চাষ করতে।
তিনি বলেন, নীলফামারী জেলা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আইজিপির বিশেষ মনিটরিংয়ের ফলে আমরা নীলফামারী জেলার নটখানা এলাকা ছাড়াও প্রতিটি থানা- ফাঁড়ির প্রায় সব ধরনের পতিত জমিই চাষাবাদের আওতায় এনেছি।
পুলিশের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের সবজি জেলায় কর্মরত পুলিশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও খাচ্ছেন। নিজের হাতে সবজি উৎপাদন করে খাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে, যা নীলফামারী জেলা পুলিশের সদস্যরা করছেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য