বাঁশের মাচায় ঝুলছে থোকায় থোকায় আঙুর। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা হালকা সবুজ রঙের এই ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষি। এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় গ্রামের কলেজ পড়ুয়া আবু সুফিয়ানদের আঙুরের বাগানে।
বাংলাদেশেও যে সুস্বাদু ও মিষ্টি আঙুর চাষ করে সফলতা পাওয়া যায়, তারই প্রমাণ দিয়েছেন কলেজপড়ুয়া আবু সুফিয়ান। বাড়ির উঠানে মূলত শখের বসে আঙুর গাছ লাগিয়ে তিনি পেয়েছেন সফলতা।
আঙুরের গন্ধ, আকার, ওজন ও স্বাদ এবং ফলন ভালো হওয়ায় আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এ জেলার অনেক কৃষক। মিষ্টি আঙুর চাষে সাফল্য দেখে বল্লমঝাড়সহ বেশ কয়টি ইউনিয়নে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আঙুর চাষি আবু সুফিয়ান ভোরের আকাশকে জানান, ৮ মাস আগে শখের বসে স্থানীয় বাজার থেকে কয়েকটা চারা কিনে এনেছিলেন। কয়েকটি গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে একটি গাছ টিকেছিল।
গাছটি দিন দিন বৃদ্ধি হওয়ার পরপরই ফলন আসা শুরু করে। চারা রোপণের ঠিক ৮ মাসের মধ্যে পেয়েছেন ফলন। দৃষ্টিনন্দন আর সুস্বাদু হওয়ায় প্রতিনিয়ত আঙুর ফল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী ভোরের আকাশকে জানান, এই আঙুর জাতের নাম জ্যাক-কাও।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য