নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাসাধারণের। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার প্রয়োজনে সব পণ্যের বাজারমূল্য একের পর এক বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের নিত্য আহারের প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারেও হু হু করে বাড়ছে সব দ্রব্যসামগ্রীর দাম।
উত্তর জনপদের সবজি ভান্ডার খ্যাত শহর বগুড়া জেলার বিখ্যাত কাঁচাবাজার মহাস্থানগড় সহ জেলার রাজাবাজার ও শাহ ফতেহ আলী বাজার ঘুরে কেনাবেচার দাম জানতে চাওয়া হয় ফতেহ আলী বাজারের পাইকারি ও খুচরা কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের কাছে।
তিনি বলেন, আজকের বাজারে গোল আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০/৬০ টাকা কেজি, পটোল, ঝিঙে, করলা, মিষ্টি লাউ, ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ফুল কপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাঁচামরিচের দাম ১০০ টাকা কেজি, শসা ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাকরোল ৫০/৬০ টাকা কেজি, বরবটি প্রতি কেজি ৩৫/৫০ টাকা, মূলা ৪০/৫০ টাকা কেজি, এছাড়াও বাজারে এসেছে নতুন কচুরমুখী, যার মূল্য বর্তমান বাজারে প্রতিকেজিতে ৮০/১০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি ক্লিনিকের অফিস সহকারী পদে চাকরিজীবী মালগ্রাম এলাকার মাসুদা বেগমের সঙ্গে দাম বৃদ্ধির কথা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, যে হারে বাজারে কাঁচা তরিতরকারির দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন চালানো অসহনীয় হয়ে পড়ছে। দাম না কমলে আগামীতে আমাদের কপালে আরো না জানি কত কষ্ট আছে।
তবে এসবের ভিড়ে এই সময়ে বাজারে সবচেয়ে দাম বেড়েছে আদা ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। রসুনের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
রাজাবাজারের ব্যবসায়ী শিপুল মন্ডলের কাছে দাম বৃদ্ধির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পাইকারিতে যখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তখন খুচরা বিক্রিতে কম কেমন করে দেব, পণ্য সংকটের কারণে বেশি দামে কিনে আমাদেরও বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, এবারের আবহাওয়া সবজি চাষের অনুক‚ল না থাকায় আমদানি কম হওয়ার কারণে দাম এভাবেই বেড়ে চলেছে।
কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মকছেদ আলী বলেন, এই দামই নয় শুধু, দু-একদিনের মধ্যে কাঁচাবাজারের পণ্যের দাম আরো বাড়বে।
কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এই যে বৃষ্টি হচ্ছে, এমন বৃষ্টির ফলে তরিতরকারি ও সবজি ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাজারে আরো দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে কাঁচাবাজারের সঙ্গে বাজারে মাছ ও মুরগির দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান মুরগি ব্যবসায়ী আইনুল হক।
ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৬০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য