-->
শিরোনাম
সিন্ডিকেট কারসাজি

কুমিল্লায় অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, প্রতারিত ভোক্তারা

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লায় অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, প্রতারিত ভোক্তারা
কুমিল্লার লাকসামে নিত্যপণ্যের হাট-বাজার

আসন্ন ঈদুল আজহা ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে সিন্ডিকেট কারসাজি চলছে। এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা দামে বড় তফাৎ এবং বিভিন্ন পণ্যের বাজারে আগুন পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

 

নানা অজুহাতে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে ভোক্তারা ব্যবসায়ীদের হাতে প্রতারিত হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকায় ওইসব ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য আরো বেড়েছে।

 

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিগত ৩ বছর যাবত মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের আয় নেই বললেই চলে। সামনে ঈদুল আজহা ও জাতীয় নির্বাচন ফলে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। হাটবাজারগুলোতে চাল, ডাল, চিনি, গরম মসল্লা, ভোজ্যতেল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। স্থানীয় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত কঠোরভাবে জোরদার করা উচিত ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি।

 

স্থানীয় মজুতদার ব্যবসায়ীরা সুকৌশলে লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। অথচ এ ব্যাপারে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গরম মসল্লা, ভোজ্যতেল ও গ্রীষ্মকালীন সবজি পণ্যের বাজার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

 

জেলা দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক ভুক্তভোগী জানায়, পাইকারি আড়তে বিভিন্ন পণ্যের দামের বিপরীতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পণ্যের দাম ১৫-২০ টাকা বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো ৫-১০ টাকা বেশি দাম দিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হয় ক্রেতাদের। পাইকারি বাজারে চিনি ১২৮-১৩০ টাকা, খুচরা বাজারে ১৩৫-১৪০ টাকা পেঁয়াজ ৭২-৭৫ টাকার স্থলে ৭৫-৮০ টাকাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রত্যেকটির কেজি ১৫-২০ টাকা পার্থক্য রয়েছে।

 

মৌসুমী ফল, কাঁচা সবজি ও গরম মশল্লার বাজার অনেকটা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নতুন নতুন সবজি ৮০-৯০ টাকার নিচে কোনো তরকারি পাওয়া যায় না।

 

অথচ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামালে মোকাম কিংবা উৎপাদন স্থানে দাম তার অর্ধেক। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, সিম, করলা, বেগুন, পটল, মৌসুমী ফল-ফলাদি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, হোটেল রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন সবজির সংকট সৃষ্টি করে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বাড়ার অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে সিন্ডিকেট-ব্যবসায়ীরা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version