-->
শিরোনাম
কোরবানির হাট

গাইবান্ধায় প্রস্তুত ১ লাখ ৩৮ হাজার পশু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় প্রস্তুত ১ লাখ ৩৮ হাজার পশু
গাইবান্ধায় খামারিদের গরু

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

 

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, এ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০টি পশু।

 

গাইবান্ধা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও খামারিদের এসব পশু স্থানীয়ভাবে দাড়িয়াপুর, লক্ষীপুর,মাঠেরহাট, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট ও শোভাগঞ্জ বাজার হাটসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে।

 

এসব স্থানে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, মহিষ, গাভী, বলদ, ছাগল ও ভেড়া কেনাবেচা হবে। অনেকে সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনতে পারবেন।

 

তবে খামারিদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। অতিরিক্ত দামে খাদ্য খাওয়ানো হয়েছে। ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

 

পশু কোরবানি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া লিয়াকত আলী বলেন, সরকারি চাকরি জীবনে প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছি এককভাবে। তাছাড়া চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পরেও কয়েক বছর এককভাবেই কোরবানি দিয়েই আসছি। কিন্তু এ বছর তার ব্যত্যয় ঘটবে।

 

কারণ, সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। তাই এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দেয়া ছাড়া কোনো বুদ্ধি দেখছি না।

 

সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় এলাকার খামারি আজিজার রহমান জানান, কোরবানি উপলক্ষে দেশি জাতের ৩টি গরু বিক্রির জন্য রাখছেন। দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সর্বত্রই চেষ্টা করছেন। কিন্তু সম্প্রতি গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা আছেন।

 

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার ভোরের আকাশকে জানান, কৃষক-খামারিরা যাতে করে ভালো দাম পায়, সে ব্যাপারে তাদের প্রণোদনা দেয়াসহ অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

তিনি বলেন, এখনো কোরবানির পশুর হাট তেমনটা জমেনি। বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল থাকবে। আশা করছি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা কোরবানি পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version