-->
শিরোনাম

ঈদ সামনে রেখে অস্থির মসলার বাজার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদ সামনে রেখে অস্থির মসলার বাজার
চট্টগ্রামের একটি খুচরা মসলার দোকান

চলতি মাসের শেষদিকে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই অস্থির হতে শুরু করেছে মসলার বাজার। এক মাস আগে একবার দাম বাড়ার পর নতুন করে ১০ রকম মসলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। অন্যদিকে সবজি ও মাছের বাজারে খুব একটা স্বস্তি ফেরেনি।

 

চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্য পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মাসের ব্যবধানে জিরা, ধনিয়া, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ ১০ ক্যাটাগরির মসলার দাম আরো বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে পাঁচফোড়ন ২০০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেজপাতা ২০০ ও সরিষা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ ১১০০ টাকা ১১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

তাছাড়া কেজিতে ৩০০ বেড়ে প্রতি কেজি লবঙ্গ ১৮০০ ও এলাচের দাম ঠেকেছে ২৬০০ টাকায়।

 

তাছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করেনি। পেঁয়াজ এলে দাম কমে যাবে। পাশাপাশি আমদানি কম থাকার কারণে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।

 

আশা করছি, আমদানি বাড়লে দাম ক্রেতার নাগালে আসবে বলে আমরা মনে করি। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ১৫ টাকা বর্তমানে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি সোনালি ৩২০ ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। বাজারে প্রতি কেজি পটোল ৬০, বরবটি ৬০, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, লাউ ৫০, টমেটো ৫০ ও ধুন্দল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাছের বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস ২২০, পাবদা ৪৫০ থেকে ৮০০, রুই ২৫০, কাতল ৩০০, শিং ৩৫০, টেংরা ৪৫০, চিংড়ি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

খুচরা দোকানগুলোয় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকা খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version