নড়াইলের শাহাবাদ ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে জাহিদুল আলম খানের দুগ্ধ খামারে বিষ প্রয়োগে চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি গাভী মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
এ ছাড়া আরো পাঁচটি গাভী অসুস্থ হয়েছে। এ কারণে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন দুগ্ধখামারি জাহিদুল আলম খান।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাড়ির আঙিনায় গরুর খামার করছি। খামারে ৩০টি বিদেশি জাতের গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ লিটার দুধ সংগ্রহ হয়ে থাকে।
হঠাৎ করে শত্রুতাবশত গভীর রাতে কে বা কারা গরুর খাবারের পাত্রে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। এ কারণে পাঁচটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সকালে খামারে গিয়ে গরুগুলোর মুখ দিয়ে লালা ঝরতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়।
এরপর বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনসহ প্রাণিসম্পদ অফিসে জানিয়েছি। পশু চিকিৎসক এসে গরুগুলোকে চিকিৎসা করেছেন।
এ ছাড়া চার লক্ষাধিক টাকার একটি বড় গাভী মারা গেছে। এত বড় ক্ষতি করলে কীভাবে গাভী লালন-পালন করব। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ খামারে কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অনন্ত পাল বলেন, অসুস্থ পাঁচটি গরুকে চিকিৎসা দিয়েছি। গরুগুলো এখনো শংকামুক্ত নয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সাথে বিষ মেশানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য