-->
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
প্রতিবেদকের নিজ হাতে তোলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমাড়শীল মোড়ে আলিফ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরাফাত (১৬ মাস) নামের এক শিশুকে ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে শিশুর স্বজনেরা।

 

তাদের অভিযোগ, শিশুটিকে আলিফ জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাতের দেওয়া ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশের কারণে শিশুটি মারা যায়।

 

জানা যায়, সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের প্রবাসী নাছির সওদাগরের ১৬ মাস বয়সের সন্তান আরাফাতকে শনিবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার উরুতে অপারেশন করার জন্য শহরের কুমারশীল মোড়স্থ আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ডা. এস. এম মামুন মোহরের অধীনে ভর্তি করা হয়।

 

সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় শিশুটিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাত শিশুটিকে ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করলে শিশুটির পুরো শরীরে খিঁচুনি উঠে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্টাফ শিশুর লাশটিকে ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 

শিশু আরাফাতের মা মারুফা বেগম বলেন, দুপুরে তার শিশু সন্তানকে সদর হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ডা. মামুন মোহরের কাছে চিকিৎসা নিতে আসি। পরে তিনি অপারেশন করবেন বলে ভর্তি দেন। আলিফ জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাত ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশের কারণে তার শিশুর খিঁচুনি উঠে কাঁপতে কাঁপতে মারা যায়।

 

ডাক্তারের অবহেলার কারণে তার শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন এবং শিশু হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি। ১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শিহাবুর রহমান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসেছি। শিশুর স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আরাফাত নামের এক শিশুকে পায়ের ফোঁড়া অপারেশনের জন্য আলিফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাকে ওটিতে নিয়ে হাসপাতালের স্টাফ ইশরাত ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করার পর খিঁচুনি ওঠে শিশুটি মারা যায়।

 

পরে রাতে আমরা লাশ উদ্ধারকরে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরহাসপাতাল মর্গে রাখি। এব্যাপারে আলিফ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মাকসুদুল হক ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, তিনি ঢাকায় আছেন বিস্তারিত কিছু বলতে পারতেছে না। সার্জারি চিকিৎসক ডা. এস. এম মামুন মোহর ভোরের আকাশ প্রতিনিধিকে বলেন, 'শিশুর পায়ে ফোঁড়া ছিল। আমি না করেছি কোনোরকম ইনকজেকশন না দিতে। ছোট্ট শিশুকে ইনকজেকশন পুশ করা আমার অগোচরে হয়েছে।'

 

রোববার (১১জুন) প্রতিবেদক হাসাপাতালে গেলে হাসপাতাল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অন্য কেও এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানান, পুত্র শোকে কাতর সৌদিতে থাকা শিশুর প্রবাসী বাবা রোবাবার বিকালে বিমানে বাংলাদেশে চলে আসতেছে।

 

রোববার দুপুর পর্যন্ত শিশুর মৃতদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তারা আরও জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version