রাত পোহালেই কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। ১২ ওয়ার্ডের ৪৩টি কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দেয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ১২টি ওয়ার্ডের ৯৪ হাজার ৮১১ জন ভোটার রয়েছে। যেখানে পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ৮৮৫ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯২৬। ৪৩টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে চলবে ভোটগ্রহণ। টানটান উত্তেজনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। বিএনপি-জামায়াত এ নির্বাচন বর্জন করায় লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের মধ্যে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়রপ্রার্থীসহ ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৪ শতাধিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রকে সমান ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে গ্রহণ করা হয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি।
প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ভোটগ্রহণে ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভাকে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে টহলে। বিজিবি র্যাব পুলিশ ছাড়া চারজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন ১২টি ওয়ার্ডে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, ভোটগ্রহণে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের পুলিশ, আনসার সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন। একই সঙ্গে পুলিশের টহল দল, বিজিবি, র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে থাকবেন একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এর সংখ্যা প্রয়োজনে বাড়ানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ, নিরপেক্ষ করতে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের প্রচার। পৌর এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, আচরণবিধি রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বহিরাগতদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকছে নির্বাচনী এলাকায়।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়। সব কেন্দ্রে লোকবল, মালামাল পৌঁছে গেছে।
সর্বশেষ মাঠ জরিপ অনুযায়ী, সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে যা জানা গেছে, পাঁচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবু ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নাগরিক কমিটি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের মাসেদুল হক রাশেদের মধ্যে। এ দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন ভোটাররা।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য