-->

খাল সংস্কারের অভাবে চরম দুর্ভোগে সহস্রাধিক কৃষক

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
খাল সংস্কারের অভাবে চরম দুর্ভোগে সহস্রাধিক কৃষক
পাঁচবিবির এই খালটির অধিকাংশ অংশ আগাছা, কচুরিপানা ও মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের নওগাঁ কাঁঠালি মাঠ থেকে হারাবতি নদীতে সংযুক্ত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। এ কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তিনটি উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক কৃষক।

 

উপজেলার নওগাঁ কাঁঠালি গ্রামের পূর্বদিকে বিহিগ্রাম মাঠ থেকে হারাবতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ৪ কিমি খালটির অধিকাংশ অংশজুড়ে আগাছা, কচুরিপানা ও মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে জমির পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সষ্টি হয়।

 

বর্ষাকালে মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সেই পানি গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়, সময়মতো বর্ষার পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে মাঠগুলোতে রবিশস্য চাষ মৌসুমে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে থাকে। এ কারণে কৃষকরা তাদের জমিতে সময়মতো আলু ও সরিষা ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে না পারায় অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।

 

নওগাঁ কাঁঠালী গ্রামের কৃষক হাকিম মিয়া ও শহিদ মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের ১০টি মৌজার জমির পানি এই খালটি দিয়ে হারাবতি নদীতে নামে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও খালটি সংস্কার না হওয়ায় আমাদের জমির পানি জমিতেই থাকে। ফলে আমরা আলু সরিষা লাগাতে পারি না।

 

কাঁঠালী গ্রামের কৃষক সবুজ হোসেন বলেন, এই এলাকাটিতে প্রায় আড়াইশ একর জমিতে আলু চাষ হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের শেষে জমির পানি সময় মতো নেমে না যাওয়ার কারণে আমরা জমিতে রবিশস্য লাগাতে পারি না। কৃষকের সুবিধায় খালটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

 

এ বিষয়ে আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী তৌহিদ বলেন, বিগত সময়ে চেয়ারম্যান থাকার সময় এই খালটি সংস্কারের জন্য ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু খালটি খননকালে মাটিগুলো রাখতে দুপাশে যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন সেই জায়গা খাল সংলগ্ন জমির মালিকরা না দেয়ার কারণে সংস্কার সম্ভব হয়নি।

 

সে কারণে বরাদ্দের অর্থ ফেরত যায়। তবে আমি আবারো নতুন করে খালটি খননের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে খালটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছে।

 

আশা করছি, আগামী বছর খনন কাজ শুরু হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version