লাভের আশায় কোরবানিযোগ্য পশুর সর্বোচ্চ যত্ন নিচ্ছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার খামারিরা। উপজেলার ছোট-বড় এক হাজার খামারে প্রায় ৭ হাজার ৫শ কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগও খামারগুলোতে সর্বোচ্চ তদারকির পাশাপাশি পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করেছে। এবার অধিকাংশ খামারিই লাভের আশা করছেন।
অরণ্যবেষ্টিত টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাবাসী প্রতিটি বাড়িতে গরু-ছাগল লালন পালন করে থাকেন। এদের মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবনা থেকে এক হাজার পরিবার তাদের আঙিনায় গড়ে তুলেছেন ছোট-বড় খামার। খামারগুলোয় চলতি মৌসুমে কোরবানিযোগ্য পশুর পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার। প্রতিটি খামারের মালিকরাই সনাতন পদ্ধতিতে ঘাস, খড়, ভুসি খাওয়ানোর মাধ্যমেই গরু-ছাগল লালন পালন করেছেন।
রানিয়াদ গ্রামের খামার মালিক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে খামারে গরু লালন পালনে ব্যয় বেড়ে গেছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ৪০টির অধিক গরু আছে। এগুলো লালন পালনে বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কোরবানির মৌসুমে সব গরু বিক্রি করতে পারলে ব্যয় বাদে কিছু লাভও হতে পারে।
খামারি রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার সময়ে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চলতি সময়ে গরুর বাজার মূল্য আগের তুলনায় একটু ভালো। এবার ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখা যেতে পারে।
খামার মালিক ওবায়দুল হক মুকুল বলেন, এক সময় আমরা বেকার জীবনযাপন করেছি। পাঁচ বন্ধু মিলে ন্যাচারাল এগ্রো নামে গরুর খামার করি। বর্তমানে এখানে ৭০টির মতো গরু রয়েছে। এখানে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরো ৭-৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কোরবানির এই মৌসুমে সব গরু বিক্রি হলে বেশকিছু টাকা লাভ হবে।
মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার পাল জানান, মধুপুরের খামারগুলোয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এ দিয়ে মধুপুরের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
কোরবানিযোগ্য পশুগুলোর লালন পালনের জন্য সনাতন পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটেও মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য