-->

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি
বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কুবির শেখ হাসিনা হলের ইন্টারনেট সংযোগ কাজ উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা নিতে পারবে। বুধবার বিকেলে শেখ হাসিনা হলে ইন্টারনেট সংযোগের কাজ উদ্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই তারা কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজের জন্য অপেক্ষা করেছে। আমি ছাত্রদের অতি উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিতে চাই। বিদেশ থেকে আসা যন্ত্রপাতি দিয়ে এ প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই পুরো ক্যাম্পাস এ নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে।

 

হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ওয়াইফাই ম্যাটেরিয়ালসগুলোর শিপমেন্ট আসতে সময় লাগছিল। তবে আমাদের উপাচার্য আপ্রাণ চেষ্টায় আমরা অবশেষে ওয়াইফাইয়ের কাজটি উদ্বোধন করতে পেরেছি। আমরা হল প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকব যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ও অর্থ এবং হিসাব দপ্তরের তথ্যমতে, শেখ হাসিনা হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্ধিতাংশ, নতুন একাডেমিক ভবনগুলোতে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই সংযোগ দেয়ার কাজটি সম্পন্ন হবে। এই পুরো কার্যক্রমের সাথে আছে সিনেক্স সিস্টেম লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি। এই ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকার উপরে খরচ হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে শেখ হাসিনা হলে ওয়াইফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ওয়াইফাইয়ের সব মালামাল আমরা হাতে পেয়েছি। শুধু শেখ হাসিনা হল না বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ওয়াইফাইয়ের সব সমস্যা সমাধান করা হবে।

 

এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ছাত্রী হল হিসেবে শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন করা হয়। এ বিষয়ে আইন বিভাগের ১৩তম আবর্তনের আবাসিক হল শিক্ষার্থী মাইশা রহমান রোদিতা বলেন, প্রথম থেকেই শেখ হাসিনা হলে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা ছিল না, তাই ইন্টারনেট সম্পর্কিত কার্যকলাপ সম্পাদন করতে গিয়ে আমরা সবাই কম বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি।

 

তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল যে, আমাদের অভিভাবক উপাচার্য স্যার আমাদের এই সমস্যার সমাধান করবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version