সিলেটে সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি রাস্তা কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম রুকন। তিনি জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জালালাবাদ থানার পুলিশ আক্রান্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আহত চার পুলিশ সদস্য এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই এতে সম্মত হয়নি। এর আগে বুধবার সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা এলাকায় সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত ৩৯নং ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়াকুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে একটি রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাজার আলী শেখ বলেন, সংঘর্ষ থামাতে ১৪৪টি রাবার বুলেট এবং ১৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। জানা গেছে, সিলেটে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালের বৃষ্টিতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। তাই সড়ক খুঁড়ে মাটি রাস্তার পাশে রাখায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সেই পানি অনেকের বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি রাস্তা কাটা নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য