দিনাজপুরের পার্বতীপুরে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ইউনুস আলী (২৪) নামে এক ট্রাকচালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত পৃথক দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর বারীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ( ৫৭) ও চিরিরবন্দর উপজেলার দিঘারন বিশ সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮)।
শনিবার সন্ধ্যায় ছেলের পরিবারকে ডেকে সালিশের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে মেম্বার নুর আলম। ছেলে পক্ষের হয়ে সালিশে উপস্থিত আ. ওয়াদুদ সরকার দুলু ও ফাইজুল হক জানান, ছেলেকে আড়ালে রেখেই সালিশে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত মেম্বার। একপর্যায়ে ছেলেকে উপস্থিত করার বিষয়ে বাগবিতন্ডা হলে হত্যার বিষয়টি সামনে আসে।
এ সময় ঘরের ভেতরে রাখা লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। ছেলের পরিবার লাশের কাছে গেলে পালিয়ে যায় মেম্বারসহ মেয়ে পক্ষের লোকেরা। এ ঘটনার পর থেকে মেয়ের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ছেলের বাবা মাহাবুর রহমান বাদী হয়ে রাতেই মেয়ের পরিবারসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হয়বতপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার আখির সাথে ইউনুস আলীর (২৪) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছয় মাস আগে আখির অন্যত্র বিয়ে দেয় তার পরিবার। কয়েকদিন আগে বাবার বাড়িতে আসে সে। এরই জেরে শুক্রবার রাতে ওই ছেলেকে মুঠোফোন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় মেয়ের পরিবার।
সেখানে রাতভর স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য নুর আলমের নেতৃত্বে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। শনিবার রাত ১২টার দিকে মেয়ের চাচা মাহাতাবের বাড়ি থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য