মাদারীপুরের শিবচরে খাবার স্যালাইন ও শিশুখাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযানকালে বিএসটিআইর অনুমোদনবিহীন ভেজাল স্যালাইন ও জুসসহ ৯ ধরনের বিপুল পরিমাণ খাদ্যজাত পণ্যসহ মেশিনারিজ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কারখানার ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জেলার শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসির গ্রামের মজিদ ফরাজির ছেলে রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বন্দরখোলা এলাকায় পপুলার ওয়ার্ল্ড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি চালু করে দীর্ঘদিন ধরে শিশুখাদ্য হিসেবে পরিচিত আইসললি, আইসপপ, পপুলার গ্লুস জুস, কালারজুস, ম্যাংগোজুস, নুডুলস,পপুলার ডেইরি মিল্ক, পপুলার ওরাল স্যালাইন, ম্যাংগো সফট ড্রিংকস, পপুলার ডাব স্যালাইনসহ প্রায় ৪২ ধরনের শিশুখাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে।
এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে কিছু পণ্যের অনুমোদন থাকলেও অধিকাংশ পণ্যের নেই বিএসটিআই অনুমোদন। কারখানার ভেতরে নোংরা পরিবেশে এসব খাদ্যপণ্য তৈরি করছে শ্রমিকরা। এ ছাড়া শিশুখাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রং। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে¡ অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানকালে বিপুল পরিমান ভেজাল শিশুখাদ্য জব্দ করে পুলিশ। এ সময় কোম্পানিটির ম্যানেজার সাদ্দাম মাতুব্বরকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম মাতব্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঘোষ গ্রামের আসলাম মাতুব্বরের ছেলে। সে এই কারখানার মালিক রফিকুল ইসলাম উজ্জলের শ্যালক বলে পুলিশ জানিয়েছে। মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল স্যালাইন, জুসসহ বিভিন্ন ধরনের শিশুখাদ্য জব্দ করেছি। এদের বিরুদ্ধে
নিয়মিত মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশ কিছুদিন আগে এই কারখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। সেই সময় দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
কিন্তু কারখানার মালিকপক্ষ তারপর থেকে অন্যান্য শিশুখাদ্য তৈরি করা শুরু করে। এসব খাদ্যপণ্য সামগ্রীর বেশিরভাগই বিএসটিআইর অনুমোদন নেই। যে কয়েকটি খাদ্যপণ্য সামগ্রীর অনুমোদন রয়েছে তা-ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য