ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ পরিবারে মার খেয়ে প্রাণ হারালো বাকপ্রতিবন্ধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ পরিবারে মার খেয়ে প্রাণ হারালো বাকপ্রতিবন্ধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিজের পরিবারের লোকজনের হাতে মার খেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

 

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হেদায়েত উল্লাহ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউরা গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে।

 

জানা যায়, জুলাইপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ২ ছেলে ৪ মেয়ে। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মো. হেদায়েত উল্লাহ জন্মের পর থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। হেদায়েত উল্লাহ ৩ বছর আগে একই গ্রামের আবুল খায়ের মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। তার একটি সন্তান রয়েছে। তিনি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় হেদায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রীর ওপর জুলুম-নির্যাতন করে আসছে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

 

১৬ জুন সন্ধ্যায় তার বাবা ও ছোট ভাই মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থা তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করে। ৬ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

 

গ্রামবাসীর অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। হেদায়েত উল্লার স্ত্রী রাকিবা আক্তার বলেন, আমাকে ও আমার স্বামীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে আমার শ্বশুর, দেবর, ননদ ও শাশুড়ি। কয়েকদিন আগে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ১৬ জুন রাতে আমার স্বামীকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি।

 

আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মৃত্যুবরণ করেন। আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার দাবি করছি। ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য