-->
শিরোনাম

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে কুরবানির পশুর দাম

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি
সরবরাহ বাড়ায় কমেছে কুরবানির পশুর দাম
বদলগাছী উপজেলার কোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট

কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে খামারিদের। পশুর হাটে বেচাকেনার যেন ধুম পড়েছে। ক্রেতার তুলনায় হাটে পশু সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামুলক কম। দামে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তিতে খামারিরা। দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় খামারিরা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩৬টি পশুর হাট রয়েছে।

 

এরমধ্যে ২৭টি স্থায়ী ও নয়টি অস্থায়ী। জেলার বড় যে কয়টি পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে জেলার বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়নে কোলা হাট।

 

কোলা ইউনিয়নে কোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বসছিল পশুর হাট। হাটে ষাঁড়, বলদ ও বকনা এবং ছাগলের সরবরাহ ছিল। দুপুরে পর মাঠটি পশুতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। যেন পা ফেলার জায়গা ছিল না। গরমে ঘমাক্ত অবস্থায় একাকার।

 

তারপরও মানুষ ঠেলে পশুর হাটে প্রবেশ করছে। দরদাম করছে এবং নিজেদের পছন্দের পশু কিনছে। আকারে ষাঁড় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বড় আকারের ষাঁড় ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বকনা ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা দাম।

 

এছাড়া ছাগল ১০ হাজার থেকে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ হাটে গরু প্রায় ২ হাজার টি এবং ছাগল প্রায় ১ হাজার টি সরবরাহ হয়। হাটে পশুর সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম তুলনামুলক কম ছিল। এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি থাকলেও অস্বস্তিতে ছিলেন পশু পালনকারিরা। দানাদার জাতীয় খাবারের দাম বেশি হওয়ায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন-পালন করতে গিয়ে পশু উৎপাদনে খরচ বেশি পড়েছে।

 

উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের খামারি আব্দুল জলিল বলেন, তিন বছর আগে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ষাড় কিনেছিলাম। প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালনপালন করেছি। ভাল দাম পাওয়ার আশায় হাটে নিয়ে আসা। দাম রাখা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেখানে ক্রেতারা দাম হাকছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।

 

বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম থেকে হাটে গরু কিনতে আসছেন হারুন রশিদ দুলাল। তিনি বলেন, এ হাটে প্রতি বছরই কুরবানির সময় পশুর দাম কম হয়। আর সে আশায় এ হাটে আশা। ক্রেতার তুলনায় পশুর আমদানি বেশি। প্রচুর পশুর আমদানি হওয়ায় দাম তুলনামুলক কম।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version