আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় জমে উঠেছে পশুর হাট। কুমিল্লার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম বাড়াতে বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাছাড়া বাজারে ক্রেতাদের সমাগম বাড়াতে কোনো কোনো বাজারে পশু ক্রয়ের জন্য নামে মাত্র হাসিল নেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার পশুর হাটগুলো ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ক্রেতাদের বেশি পছন্দ দেশি ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। মাঝারি দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরুর তুলনায় দাম একটু বেশি। কুমিল্লার নেউরা, চৌয়ারা, শাহপুর সুবর্ণপুর, বাজগড্ডা বাজার, বালুতুপা, চানপুর, আমড়াতলী বাজার, বন্দীশাহী বাজার, বাবুটিপাড় আপিল মার্কেট বাজার এবং ময়নামতি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে যানা যায়, দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর প্রতি আকর্ষণ বেশি। কুমিল্লার অন্যতম বড় গরু বাজার বিবির বাজারে কথা হয় মামনুনের সঙ্গে।
তিনি জানান, দুইটা মাঝারি সাইজের দেশি গরু কিনার ইচ্ছা আছে দেড় লাখ বা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। দুইটা মাঝারি সাইজের দেশি গরু পেলে কিনব। নগরীর হযরত পাড়া থেকে গরু কিনতে আসা তামজিদ, মাহমুদের ওয়াসিফ জানান, কোরবানির জন্য ৩টা গরু কিনার ইচ্ছা আছে। দেশি মাঝারি গরু কিনতে বালুতুপা বাজারে এসেছি।
শাহপুরবন্দি শাহী বাজারে গরু বিক্রেতা আবদুল বারেক জানান, এ বাজারে দেশি মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চেয়ে বাজারে দেশি মাঝারি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি এবং মাঝারি দেশি ও ছোট সাইজের গরু বিক্রি বেশি।
চৌয়ারা গরু বাজারের বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, একটা বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে মাঝারি সাইজের ৫ গরু বিক্রি হয়ে যায়। চৌয়ারা বাজারে আমি মোট ২২টি গরু এনেছি। তার মধ্যে দুটি বড় গরু ৩টি এবং মাঝারি গরু ১৪টি এবং ৫টি ছোট গরু রয়েছে। বড় গরুগুলোর প্রতি কাস্টমারের চাহিদা কম। মাঝারি সাইজের ৬ গরু বিক্রি করেছি।
হাট ইজারাদার সহিদ মিয়া জানান, শহরের ক্রেতারা এখনো গরু কিনেননি। কারণ শহরের বাসাবাড়িতে এখন কোরবানির জন্য গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। যার দরুণ শহরের অনেক ক্রেতা গরু রাখার জায়গা ও লালনপালন করার ঝামেলা নিতে চান না। তাই তারা কোরবানির এক দিন বা দুদিন আগে গরু কিনেন। আশা করি, কোরবানির ঈদের এক দিন বা দুদিন আগে মঙ্গলবার ও বুধবার বাজারে ক্রেতার আরো বেশি সমাগম হবে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সনজুর মোরশেদ খান জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লার পশুর হাটগুলোতে পুলিশের বিশেষ ফোর্স গাড়ি দিয়ে টহল দিচ্ছে। জাল টাকা চিহ্নিত করার জন্য পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য