কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজানের ভারি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাটি এলাকার নিন্মাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকছে।
শনিবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও গত বুধবার ভোর থেকে বাড়তে শুরু করে বিপৎসীমা অতিক্রম করে, তবে বিকেল হতেই নেমে যায়।
শনিবার ভোর থেকে আবারো বাড়তে শুরু করে পানি। এতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা পেরিয়ে যায় পানিপ্রবাহ। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ও তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন এলাকার লোকজন। তবে আগাম সতর্কবার্তা না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এলাকাবাসীর।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, পানি উজানের ঢলে বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে বন্যা দেখা দিতে পারে। জরুরি প্রয়োজনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে।
আমরা সব পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি। যদিও কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি কমা বাড়ার মধ্যে রয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য