-->
শিরোনাম

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড, চাপ বেড়েছে হাসপাতালে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড, চাপ বেড়েছে হাসপাতালে
চট্টগ্রামে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী

চট্টগ্রামে এক দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড সংখ্যক ১১১ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দিনদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতেও চাপ বেড়েছে রোগী ভর্তির। যার কারণে সরকারি তো বটেই, ঠাঁই নেই অবস্থা বেসরকারি হাসপাতালেও। প্রতিটি হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীতে ঠাঁসা, যা নিয়ে অনেকটাই উদ্বিগ্ন খোদ স্বাস্থ্য বিভাগও।

 

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ২৪ ঘণ্টায় ১১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে এক দিনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যা। ভর্তিরতদের মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ৬৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৩ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১২ জন, বিআইটিআইডি হাসপাতালে ২০ জন, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রোগী রয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫৯ জনে। তাদের মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫৮ জন।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে রোজই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে গত ক’দিন ধরেই হাসপাতালগুলোতে ভর্তি সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখীতে। শয্যা তো আছেই, মেঝে-বারান্দাতেও চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। যত দিন যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আরো ভয়াবহ অবস্থার শঙ্কা চিকিৎসকদের।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ এবং শিশু ওয়ার্ডে পৃথক পৃথকভাবে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বারান্দাতেও সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগী বেড়েছে।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক বেড়েছে। এখন পৃথক পৃথক ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনাও হয়েছে।

 

এদিকে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে এডিস মশা নিধনের কার্যক্রম আরো জোরাল করার দাবি সংশ্লিষ্টদের। তা না হলে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘গত ক’দিন ধরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন না হলে সামনে আরো রোগী বাড়বে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version