রাজবাড়ীতে চলতি মৌসুমের পাট কাটা শুরু হয়েছে। তবে পানির অভাবে জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। জেলার অধিকাংশ খাল, বিল, ডোবা ও জলাশয়ে কোথাও তেমন পানি নেই। যেটুকু পানি আছে, তা পাট পচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাই ক্ষেত থেকে পাট কেটে নিয়ে ঘোড়ার গাড়ি, নসিমন বা ভ্যানে করে দূরের জলাশয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সময়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পাট আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে হয়েছে পাটের আবাদ। পাট ভালো হওয়ায় ফলনো ভালো হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে জেলার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা ক্ষেত থেকে পাট কাটতে শুরু করেছেন। কাটা পাট থেকে পাতা ঝরার জন্য ক্ষেতেই সারিবদ্ধভাবে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আবার কেউ কেউ সড়কের পাশে ডোবা অথবা জলাশয়গুলোতে পাট পচাতে জাগ দিচ্ছেন। পাটচাষি রহিম মাতুব্বর, কমির শেখ, সহিদুল মোল্লা, রাজন খান বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে পাট বীজ বপন করা হয়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কাটা হয়।
এ বছর আবহাওয়ার অনুক‚ল পরিবেশ থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। এলাকার খাল, বিল, পুকুর, জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি নেই। এ কারণে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে যেসব ডোবা ও জলাশয়ে পানি জমেছে সেখানে নিয়ে পাট জাগ দেয়া লাগছে।
কৃষক সনজিৎ সাহা বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছি। জমির আশপাশে কোনো ধরনের খাল-বিল নেই। তাই ঘোড়ার গাড়িতে করে পাট নিয়ে দূরের একটি পুকুরে জাগ দিতে নিচ্ছি। এতে সময় ও টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পানি ভালো থাকলে পাটের রঙ ভালো ও ফলন বেশি হয়।
তবে পানির অভাবে অন্যত্র জাগ দিতে গেলে কৃষকের খরচ বেড়ে যায়। আমরা পাটচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য