কুড়িগ্রামে আবারো ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এসব নদনদীর পানি। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন জেগে উঠা চরাঞ্চলগুলো। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পড়েছে মানুষের। পানি বৃদ্ধিতে জেলায় নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা কমেছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮৯ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজারের ছড়ার পাড় এলাকার নওশাদ আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগে বন্যা এসে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছিল। যাতায়াতে আমাদের খুব কষ্ট ছিল। পানি কমার পর কয়েকদিন ভালোভাবে যাতায়াত করছি। আবারো পানি বাড়ায় রাস্তায় হাঁটু পানি হয়েছে। আমারগুলার ফির চলাচলে কষ্ট শুরু হইল।’
ওই এলাকার রুবেল মিয়া বলেন, ‘বাড়ির চারদিকে পানি, ঠিকমতো বাহির হওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি থেকে হাটবাজার করারও সমস্যা হয়েছে। এদিকে আবার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়েও চিন্তার শেষ নাই। কখন যে পানিতে চলে যায় ভয়ে থাকি। গত বন্যায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পর কিছু ছিল তাও এই পানিতে শেষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত বিপৎসীমার কাছাকাছি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য